মাশরাফির বাঁ হাতে ১৪ সেলাই - দৈনিকশিক্ষা

মাশরাফির বাঁ হাতে ১৪ সেলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ফিল্ডিংয়ের সময় বরাবরেরই বাজের মতো ক্ষিপ্র তিনি। নিজের বোলিংয়ে তার আশপাশ দিয়ে কোনো বল চলে যাওয়া যেনো মানতে পারেন না কখনওই। এমনকি আউটফিল্ডে থাকলেও নিজের আয়ত্বের মধ্যে থাকলে লাফঝাঁপ দিয়ে হলেও সেটি ধরা চাই'ই চাই মাশরাফি বিন মর্তুজার। সেটা হোক জাতীয় দল কিংবা অন্য কোনো টুর্নামেন্টের খেলা।

মাঠে এমন তৎপরতাই যেনো এবার কাল হলো বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়কের জন্য। চলতি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মাশরাফির ঢাকা প্লাটুন। নাজমুল শান্তর অপরাজিত সেঞ্চুরির কারণে ২০৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও জিততে পারেননি ঢাকা।

শুধু ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচই হারেনি ঢাকা, একইসঙ্গে তারা যেনো হারিয়ে ফেললো অধিনায়ককেও। চলতি বিপিএলে আর হয়তো খেলা হবে না মাশরাফি বিন মর্তুজার। কেননা তার বাঁ হাতের তালুতে দেয়া হয়েছে ১৪টি সেলাই। এখন এই সেলাই শুকানোর জন্য যে সময় দরকার, তার মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

খুলনার ইনিংসের ১১তম ওভারে মেহেদী হাসানের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সজোরে হাঁকিয়েছিলেন রাইলি রুশো। ত্রিশ গজ বৃত্তের ভেতর এক্সট্রা কভার দাঁড়ানো মাশরাফি তার বাম দিকে ঝাপিয়ে পড়েন সেই ক্যাচটি লুফে নিতে। কিন্তু বলের গতি রোধ ব্যতীত আর কিছু করতে পারেননি তিনি।

কিন্তু এটি করার পথে নিজের বাম হাতের তালুতে আঘাত পান মাশরাফি। মাঠের মধ্যেই ঝরতে থাকে রক্ত। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। সেখানে থেকে হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে দেয়া হয়েছে ১৪টি সেলাই- ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকার টিম ম্যানেজার আহসানউল্লাহ হাসান।

এখন এই ১৪ সেলাইয়ের পর মাশরাফির পক্ষে সহসাই মাঠে নামা সম্ভব হবে না। কেননা বিপিএলের বাকি আছে আর মাত্র ৫ দিন। আগামী ১৩ ও ১৫ তারিখ হবে কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর রাউন্ডের দুই ম্যাচ। এরপর শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের।

এর মধ্যে হাতের সেলাই শুকিয়ে মাঠে নামা আদৌ সম্ভব কি না- তা নিয়ে সংশয় রয়েছে প্রচুর। তবু মানুষটি মাশরাফি বলেই শেষ কথা নেই কোনো। কেননা ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়ই তিনি খেলেছেন ইনজুরির সঙ্গে যুদ্ধ। আর এবার যেহেতু বাঁহাতে ইনজুরি, তাই তিনি চাইলেই ডান হাতে বোলিং করে হলেও খেলতে পারবেন পরের ম্যাচগুলো। তবে এক্ষেত্রে ডাক্তার এবং ফিজিওর সবুজ সংকেত প্রয়োজন সবার আগে। দেখা যাক কী হয়।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031938552856445