বরগুনায় বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় পিটিয়ে এক ছাত্রের পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রোববার (১৫ জুলাই) বিকেলে বরগুনার বেতাগী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রের মা। আহত অবস্থায় স্কুলছাত্র মো. সাব্বির হোসেনকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে বেতাগী উপজেলার চিন্তাহরণ শিকদার মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্কুলছাত্রের পরিবার জানায়, শিকদার মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন গত দুই দিন স্কুলে যায়নি। তাই, রোববার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাদল সিকদার ছাত্রের বাসায় যান। এসময় স্কুলে না যাওয়ায় কারণ জিজ্ঞেস করেন তিনি। এসময় সাব্বির বিদ্যালয়ে না যাওয়ার কারণ জানালে মায়ের সামনে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন তিনি। সাব্বিরের মা শিখা আক্তার বাধা দিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ওই শিক্ষক। পরে চেয়ার আর খাটের মাঝখানে সাব্বিরে পা রেখে তার উপর উঠে দাঁড়ান প্রধান শিক্ষক। এতে সাব্বিরের পা ভেঙে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সাব্বিরের মা লাখী আকতার শিখা দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে এমন আচরণের সুষ্ঠু বিচার চাই। বেতাগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তাহেরা বেগম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, সাব্বিরের পায়ে ফ্যাকচার হয়েছে।
বেতাগী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, যেহেতু ছাত্র-শিক্ষকের বিষয়, তাদের মধ্যে আপোস মিমাংশা হয়ে গেছে।
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজীব আহসান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেতাগী থানার ওসিকে বলেছি।
তবে, পা ভাঙার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বাদল শিকদার দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, আমি কয়েকটা চড় থাপ্পড় দিয়েছি। অন্য কিছু ঘটেনি।