সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ রাখার বাধ্যবাধকতা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে মতামত চেয়েছে এ সংক্রান্ত কমিটি। শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের জানান, আমি দুই তিন দিন আগে চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আমার মতামত চাওয়া হয়েছে। সোমবারের (২০ আগস্ট) মধ্যে আমার মতামত দেব।’
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ ধরনের চিঠি এখনও পায়নি।
এর আগে ১২ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, সরকারি চাকরিতে মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে কোটা প্রথা যতটা সম্ভব তুলে দেওয়ার সুপারিশ করছে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি। তবে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে আদালতের রায় থাকায় এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইবে সরকার।
শফিউল আলম জানান, আমরা মাসখানেক কাজ করলাম। সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত। আমাদের কমিটির মোটামুটি সুপারিশ হলো— কোটা অলমোস্ট উঠিয়ে দেওয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া। তবে সুপ্রিম কোর্টের একটা রায় আছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা প্রতিপালন ও সংরক্ষণ করতে হবে এবং যদি খালি থাকে তা খালি রাখতে হবে।
এ কারণে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বর্তমানে থাকা ৩০ শতাংশ কোটার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে মতামত চাইবে সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ এ সংক্রান্ত কমিটি পুরোপুরি বুঝতে না পারার কারণেই এ বিষয়ে আদালতের মতামত চাওয়া হবে। যদি কোর্ট এটাকেও বাদ দিয়ে দেয় তাহলে কোটা থাকবে না। আর কোর্ট যদি বলে ওই অংশটুকু সংরক্ষিত রাখতে হবে, তাহলে ওই অংশটুকু (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) বাদ দিয়ে বাকি সব উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ আদালত যে মতামত দেয় সেটাই প্রাধান্য পাবে।
