মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নির্ধারণ করে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সাড়ে ১২ বছর বয়স নির্ধারণ সংবিধানের প্রস্তাবনা ও সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে স্থান পাওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, শহীদুল ইসলাম লালু একজন বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধেরর সময় তার বয়স ছিল দশ বছর।
তার ছবি রয়েছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। কিন্তু বয়স নির্ধারণ করে দেওয়ায় তাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম বাদ রয়ে গেছে। ফলে তাকে যে অবজ্ঞার শিকার হতে হয়েছে এটা মেনে নেয়া যায় না।
এরপরই হাইকোর্ট ২০১৬ ও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে বয়স নির্ধারণ করে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছে।
এর আগে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ১৩ বছর ও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে তা সংশোধন করে সাড়ে ১২ বছর বয়স নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সেই দুটি প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মাহমুদ হাসান।
সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করে। পাশাপাশি তাকে দেওয়া অফিস আদেশটির কার্যকারিতা স্থগিত করেছিল হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত বয়স নির্ধারণকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।