দুর্নীতির অভিযোগ ও মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে কটূক্তিকারী আলোচিত পাবনার সাঁথিয়ার সেই বিতর্কিত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীনের বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে।
বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে মো. আব্দুল আলীম সহকারী পরিচালক প্রশাসন-১ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে সাঁথিয়া থেকে শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যায় বদলি করা হয়েছে।
তাকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় ১৬ জানুয়ারি থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত গণ্য হবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি তিনি মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে কটূক্তি করলে তার শাস্তি দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষকগণ সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি দেন। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষকদের তিনি বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের গালমন্দ ও অপমানসূচক কথা বলে মানসিকভাবে আঘাত করেন। মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তিনি ‘সম্পূর্ণ অযোগ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের জঞ্জাল’ বলে অভিহিত করেন।
ইতিপূর্বে তিনি ঘুষ কেলেংকারিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে বহাল তবিয়তে সাঁথিয়াতে রয়ে যান।
এই শিক্ষা কর্মকর্তা গত বছর ১৯ আগস্ট তার অফিসের উচ্চমান সহকারী গোলজার হোসেনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ করেন। এ ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হয়।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানস্থলে ২০-২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষক হাজির হয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর কাছে শিক্ষা কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে দম্ভোক্তির কথা জানান।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে কেউ অবহেলা বা অবজ্ঞার দৃষ্টতা দেখালে তা কোনোক্রমেই বরদাস্ত কারা হবে না। তিনি অবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেন।
এই দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য সাঁথিয়া প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার।