সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ভুয়া টেকনিক্যাল স্কুল অন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ মানুষের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার জনৈক আব্দুল মান্নান সরকারের বিরুদ্ধে। খুলনা বিভাগে তার এই অনৈতিক কাজের সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন ১১টি নাশকতার মামলার আসামী শিবির কর্মী রওশন আলম। এসব প্রতিষ্ঠানের সরকারিভাবে কোন অনুমোদন নেই। মঙ্গলবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে এই প্রতারক চক্র সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় কোন রকম টিনের ছাউনি দিয়ে একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করছে। যশোর জেলায় সদর, মণিরামপুর ও বাঘারপাড়া উপজেলায় এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বগুড়া থেকে আব্দুল মান্নান সরকার এসব প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছেন। খুলনা অঞ্চলে রওশন আলমের মাধ্যমে তিনি নিয়োগ বাণিজ্য করছেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে এ ধরণের প্রতিষ্ঠান করার কোন পরিপত্র জারি করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চক্রটি মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করছে। যশোরের এক প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ১৯ লাখ টাকার বিনিময়ে তারা অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। মণিরামপুর টেকনিক্যাল স্কুল অন্ড কলেজে তারা আপন দুই ভাইকে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছেন। শুধু যশোর নয় সারাদেশ থেকে তারা এভাবে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তিনি এই প্রতারক চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে যশোর অঞ্চলের বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।