মুজিববর্ষেই দেশে প্রথমবারের মতো মৃতদেহ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন - দৈনিকশিক্ষা

মুজিববর্ষেই দেশে প্রথমবারের মতো মৃতদেহ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিব বর্ষে দেশে প্রথমবারের মতো মৃত ব্যক্তি থেকে কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘আশা করি আমরা দেশে শিগগিরই মনণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন অস্ত্রোপচার করতে পারব। এটা অবশ্যই মুজিব বর্ষে হবে এবং এমনকি মুজিব বর্ষ শুরুর আগেই তা করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাব।’

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্লান্টেশন আয়োজিত ‘মরণোত্তর দেহদান ও সংযোজন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ ‘ব্রেন ডেথ’ ব্যক্তির অঙ্গ সংগ্রহ করে কোনো রোগীকে দেয়ার প্রক্রিয়াকে মনণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন বলে।

ডা. কনক কান্তি জানান, রাজধানীসহ সারাদেশের কিডনি সার্জন ও চিকিৎসকরা এখন পর্যন্ত সফলভাবে প্রায় ২ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন। তার মধ্যে ৫৫৭টি কিডনি প্রতিস্থাপন বিএসএমএমইউতে করা হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য রাখেন কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্লান্টেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. হারুন আর রশিদ।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে ৪০ হাজারের কিডনি পুরোপুরি কার্যক্ষমতা হারায়। কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ কিডনি রোগের চিকিৎসা পায় এবং বাকিরা এর বাইরে থেকে যায়।

ডা. রশিদ জানান, উন্নত বিশ্বে ৬০ ভাগের বেশি মানুষ মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে জীবনের নতুন অধ্যায় পাচ্ছেন। বাংলাদেশে ১৯৮২ সাল থেকে কিডনি সংযোজন ও ডায়ালাইসিস সেবা চালু থাকলেও অপর্যাপ্ত জীবিত দাতার অভাবে রোগীরা কিডনি পাচ্ছেন না।

দেশে ৩০৬ জন কিডনি দাতার ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ রোগীর মা, ৩৪ শতাংশ ভাই বা বোন, ২.৬ শতাংশ স্বামী বা স্ত্রী এবং ২.৪ শতাংশ অন্যান্য আত্মীয়। খবর ইউএনবির।

অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি - dainik shiksha চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে মাউশির তদন্ত কমিটি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038688182830811