আর্থিক সংকটের কারণে একবেলা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে বরিশাল নগরের একটি হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিশুদের। গত এক সপ্তাহ ধরে ওই অবস্থা চলছে বলে জানা গেছে। বরিশাল নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর গুচ্ছগ্রামে রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানাটি পরিচালিত হচ্ছে।
মাদ্রাসার পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী জানান, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে পলাশপুর গুচ্ছগ্রামে এতিমখানা ও মাদরাসাটি চালু করা হয়। তখন থেকেই একটি ভাড়া বাসার কয়েকটি কক্ষে পরিচালিত হতো। কখনো কখনো শুধু মুড়ি খেয়েও দিন পার করতে হচ্ছে এতিমখানার শিশুদের।
এক বছর আগে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ জেলা পরিষদের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
সে অনুদান দিয়ে জমি কিনে চার তলা ভিত্তির ওপর একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও অর্থ সংকটে সে কাজের কিছু অংশ এখনো বাকি রয়েছে। শুরুর দিকে ছাত্র সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে এখানে শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে আবাসিকে অর্ধশত শিক্ষার্থী এবং ২০ জন এতিম শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে।
নুরুল ইসলাম ফিরোজী বলেন, “টাকার অভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে আগেই। তা ছাড়া মাদরাসায় পানি ও বিদ্যুতের সংকটও রয়েছে। এখন টাকার অভাবে আবাসিক ও এতিম ছাত্রদের খাবার সরবরাহ যথানিয়মে করা সম্ভব হচ্ছে না। ছোট ছোট শিশুদের ভাতের বদলে মুড়িও খাওয়াতে হচ্ছে।”
সরকারি সহায়তা কিংবা সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা প্রয়োজন জানিয়ে মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, “ছোট ছোট এসব শিশুদের পেটে ক্ষুধা থাকলে পড়াশুনায় মন বসে না। গত কয়েকদিন ধরে কেউ সাহায্য করলে খানা হচ্ছে, না হলে না। সমাজের বিত্তবানদের বিষয়টি দেখা উচিত। নয়তো এতিম শিশুদের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।