মেট্রোরেলের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের আলাদা ইউনিট গঠন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে সোমবার গণভবনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখার সময় এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, মেট্রোরেলের সিকিউরিটির জন্য মেট্রোরেল পুলিশ থাকবে। তাদের এ বিষয়ে ট্রেনিং দিতে হবে। খবর বাসসের।
অনুষ্ঠানে ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার ও বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান মিয়াকে নতুন এই ইউনিট গঠন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মেট্রোরেল প্রকল্পের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। তিনি বলেন, মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৩০.০৫ শতাংশ। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে কাজের অগ্রগতি ৪৬ শতাংশ। এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে কাজের অগ্রগতি ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল সিস্টেম ও রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকার যানজট নিরসন ও পরিবেশ উন্নয়নে আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে মেট্রোরেলের পরিকল্পনা, সার্ভে, ডিজাইন, অর্থায়ন, নির্মাণ, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২০১৩ সালের ৩ জুন ডিএমটিসিএল গঠন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয় সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে এমআরটি-৬ এ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, প্রথম পর্যায়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময় ধরা হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরে তা এগিয়ে আনা হয়।