মেধা ও মননে আট দশকের ভূগোল - দৈনিকশিক্ষা

মেধা ও মননে আট দশকের ভূগোল

শেখ রোকন |

অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সঙ্গে আলাপের বিষয় বেশ কয়েকটি ছিল; কিন্তু স্বভাবতই প্রথম জানতে চেয়েছিলাম তার শৈশবের নদী সম্পর্কে। হাই স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবন ঢাকায় কাটিয়েছেন তো বটেই। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান অধ্যাপক হিসেবে, দেশের শীর্ষস্থানীয় ভূগোলবিদ হিসেবে, ঢাকা ওয়াসা বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে, নাগরিক ও পরিবেশ আন্দোলনের সংগঠক হিসেবে তিনি ঢাকার সঙ্গে এতটাই জড়িত যে, তার জন্ম ও শৈশবও ঢাকাতেই কেটেছে ধারণা হওয়া অমূলক নয়। অবশ্য আরও অনেকে জানেন, তার জন্ম হয়েছিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে। গ্রামের নাম দিগর মহিষখালী। হালে অবশ্য নতুন ও নান্দনিক নামকরণ ঘটেছে- আরশীনগর। শৈশবের নদীর নাম যখন জানতে চাই, তখন তার মনের আরশীতেও কি শৈশবের আরও নানা স্মৃতি প্রতিফলিত হয়নি? 

গত আট দশকে অধ্যাপক নজরুল ইসলামের শৈশবের অনেক স্মৃতির নিশ্চয়ই বিস্মৃতি ঘটেছে, ঝাপসা হয়ে গেছে আরও অনেক। কিন্তু জন্মতারিখ কি কেউ ভোলে? যদিও আমাদের সমাজে বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় 'সুবিধাজনক' জন্মতারিখ দেওয়ার একটা রেওয়াজ অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। কোনো কোনো অভিভাবক ইচ্ছাকৃতই এ কাজ করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন 'বিচক্ষণ' কোনো শিক্ষক। অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ক্ষেত্রে পুরান ঢাকার প্রিয়নাথ হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক নানা দিক বিবেচনা করে জন্মতারিখ দিয়েছিলেন ১লা মার্চ, ১৯৪১। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক নজরুল নিজেই একটি কৌতুক বললেন।

মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরগুলোতে দক্ষিণ এশীয় নাগরিকরা কীভাবে 'স্বাগত' হন, সবাই কমবেশি জানে। কিন্তু সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট একবার বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যাপারে লিখিতভাবে অতি উচ্চ ধারণা পোষণ করেছিল। তাদের মতে, জন্মনিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের মতো আর কোনো দেশ সাফল্য দেখাতে পারেনি। এ দেশের যত মানুষ বিমানবন্দর অতিক্রম করে, তাদের অর্ধেকের জন্মদিন ১লা জানুয়ারি। আর বাকি অর্ধেকের ১লা মার্চ। সৌদি কর্মকর্তাদের কাছে বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল এই- একটি রাষ্ট্র কতটা সুশৃঙ্খল হলে তার নাগরিকদের প্রায় সবাইকে দুটো বিশেষ দিনে জন্মগ্রহণ করাতে পারে!

অধ্যাপক নজরুল ইসলামের প্রকৃত জন্মদিন আজ। ১৯৩৯ সালের ১৬ এপ্রিল। তার বাবা আবদুল কাদির কর্মরত ছিলেন বিচার বিভাগে, বদলির চাকরি। জন্মের পর ছয় বছর পর্যন্ত মা ফাতিমা খাতুনের সঙ্গে পৈতৃক বাড়ি ভেদরগঞ্জেই থাকতেন। পড়তেন দিগর মহিষপুরের স্থানীয় ও অনানুষ্ঠানিক পাঠশালায়। তার ভাষ্যমতে, এখনকার প্রিস্কুল। বাবা একবার ফরিদপুর জজকোর্টে বদলি হলে সেই প্রথম ভেদরগঞ্জের বাইরে যাওয়ার সুযোগ হলো। তার এখনও মনে আছে, গুণটানা-পালতোলা নৌকায় করে চার দিন নৌকা ভ্রমণ শেষে ফরিদপুর পৌঁছেছিলেন। যদিও আবার বাবা ঢাকায় বদলি হলে তারা গিয়েছিলেন রাজবাড়ী।

সেখানকার কালুখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক পড়াশোনা। একেবারে ক্লাস ফাইভে। তার কিছুদিন পর পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় স্থায়ী। ভর্তি হলেন প্রিয়নাথ হাই স্কুলে, ক্লাস সিক্সে। কিন্তু ভর্তির দুই মাসের মাথায় ওই স্কুল সরকারি হলে নাম বদলে হয় 'নবাবপুর গভর্নমেন্ট হাই স্কুল'। সেখানেই যে তার জন্মতারিখও বদল ঘটে, আগেই বলেছি। সনদে যাই থাক, প্রকৃতপক্ষে আজ তার একাশিতম জন্মদিন। আশিতম জন্মবার্ষিকী।

ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, এমনকি রাষ্ট্রীয় জীবনে সাফল্য বলতে যা বোঝায়, অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মুকুটে তার সবগুলো পালকই যুক্ত হয়েছে গত আট দশকে। লেখক হুমায়ুন আজাদ একটি শব্দবন্ধ ব্যবহার করতেন প্রায়শই- 'বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময়'। এই শব্দবন্ধটি অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ক্ষেত্রে যে নির্দি্বধায় ব্যবহার করা যায়, প্রথম অনুচ্ছেদে লেখা পরিচিতিতেই তা স্পষ্ট। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ভূগোলের প্রতি তার ভালোবাসা সবচেয়ে উজ্জ্বল।

জানতে চেয়েছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় হিসেবে ভূগোল বেছে নিয়েছিলেন কেন? বললেন, হাই স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ভূগোল ভালো লাগত। বিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ফজলে কাদের 'ভূগোলের নেশা' ধরিয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় পরীক্ষা দিয়ে তিনি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে শিক্ষা সফরে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন, বড় ভাই ইংরেজি বিভাগে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু তিনি কয়েক মাস পর ভূগোল বিভাগে 'মাইগ্রেট' করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে তার 'একাডেমিক রেকর্ড' এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি।

মনেপ্রাণে, ধ্যান-ধারণায়, সংস্কৃতি-খাদ্যে, একটু 'বেশি বাঙালি' নজরুল ইসলামের শিক্ষকতা জীবন শুরু নিয়ে রয়েছে অম্লমধুর অভিজ্ঞতা। ১৯৬৩ সালে রেকর্ড নম্বর নিয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেওয়াজ অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে পারেননি। বিভাগীয় প্রধান ছিলেন একজন অবাঙালি অধ্যাপক। তিনি মনে করতেন, নজরুল ইসলাম একটু 'বেশি বাঙালি'। তার বদলে একজন অবাঙালি কলেজশিক্ষককে নিয়োগ দিতে আগ্রহী ছিলেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত নজরুল ইসলামের মেধা ও যোগ্যতার সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেননি। ভাবা যায়, ষাটের দশকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সুবর্ণ সময়েও এই জাতিকে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে!

স্বাধীন বাংলাদেশে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম শুরু করেছিলেন একটি অন্য সংগ্রাম। ভূগোল, পরিবেশ, নগরায়ণকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছকবাঁধা গণ্ডির বাইরে নিয়ে আসার সংগ্রাম। তার অধীনে মাস্টার্স থিসিস করতে আসা তিনজনসহ সবমিলিয়ে ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন 'নগর গবেষণা কেন্দ্র'। একটি স্বাধীন দেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা কেন্দ্র (সিইউএস) প্রতিষ্ঠা একজন স্বল্প অভিজ্ঞ শিক্ষকের কতটা দূরদর্শিতার পরিচয় ছিল, আজকে দেশ-বিদেশে সুপরিচিত ও সম্মানিত সিইউএস তার প্রমাণ। সেন্টার ফর আরবার স্টাডিজও আমাদের ইতিহাসের অংশ; বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে গিয়ে সেটাই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম সম্পর্কে লিখতে বা বলতে গিয়ে অনেকেই ভুলবশত তার নামের আগে 'ডক্টরেট' বসান। বস্তুত যার অধীনে ডজন ডজন গবেষক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন; তিনি নিজে যে ডক্টরেট নন, ভাবা কঠিনই বটে। আজকের আট দশকে পরিণত নজরুল ইসলাম কেবল নন, তরুণ বয়সেও ডক্টরেট ডিগ্রি কাজে, কর্মে ও অবস্থানে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি, বলা বাহুল্য। কিন্তু অসাধারণ মেধাবী একজন ব্যক্তি আলঙ্কারিক অর্থেও কেন ডিগ্রিটি নিলেন না, সেই প্রশ্ন আশিতম জন্মবার্ষিকীতে করাই যেতে পারে। প্রশ্নটি শুনে তিনি কিছুক্ষণ হেসে নিলেন। তারপর সিরিয়াস গলায় বললেন, তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পক্ষে। বিশেষত শিক্ষকতা পেশায় যারা জড়িত, তাদের জন্য অবশ্য অর্জনীয়। তারও পরে শোনালেন নিজের সেই মধুর বিড়ম্বনার কথা। 

১৯৬৪ সালে তৎকালীন বিশ্বে সবচেয়ে অভিজাত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে নজরুল ইসলাম কানাডার ওয়েস্টার্ন ওন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। তার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার পর মাস্টার্স নয়, সরাসরি ডক্টরেট গবেষক হিসেবে ভর্তি করে নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডিগ্রিটি সম্পন্ন করতে পারেননি। মেধার ঘাটতি তো নয়ই; এর অন্তত আট আনা দায় ছিল মননের। অনেকেই জানেন না, শিল্পকলার প্রতি স্কুলজীবন থেকেই গভীর আকর্ষণ ছিল নজরুল ইসলামের। রেখেছিলেন মুনশিয়ানার স্বাক্ষরও। এমনকি ভূগোল বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ না দিলে চিত্রকলার শিক্ষক হিসেবে তাকে পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় আয়োজন সম্পন্ন করেছিলেন স্বয়ং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।

যাহোক, কানাডায় গিয়ে পিএইচডি গবেষণার পরিবর্তে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সেখানকার শিল্পকলা নিয়ে। সেখানকার শিল্পী মহলের সঙ্গে এতটাই জড়িয়ে গিয়েছিলেন, দূর-দূরান্তের চিত্রপ্রদর্শনী তাকে এতটাই ঘরছাড়া করেছিল যে, পিএইচডি গবেষণার জন্য নির্ধারিত তিন বছর কখন শেষ হয়েছে, টের পাননি। প্রশ্ন করি, বাকি আট আনা দায় কিসের? হেসে বলেন- 'হৃদয়ঘটিত'। নির্ধারিত তিন বছর পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন সময় বাড়িয়ে দিতে চেয়েছে, ততদিনে বাংলাদেশে যাওয়ার তাড়া এসেছে হৃদয় থেকে। জীবন নদীর সেই খেয়া ছেড়ে দিতে চাননি। প্রয়োজনে পিএইচডি ডিগ্রি পরে হবে। দেশে ফিরে এসে 'বিয়ে' ডিগ্রি নিতে হবে ত্বরা।

আজ আট দশকের সফল জীবনের দিকে পেছন ফিরে তাকিয়ে কোন বিষয়টি অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে মুগ্ধ করে? শিক্ষকতা নয়, গবেষণা নয়, ভূগোলও নয়; বললেন, শিল্পকলা। একটি পেশাই যদি নিতে হতো, তাহলে বেছে নিতেন শিল্পকলাকেই। আমরা জানি, এই ক্ষেত্রেও তিনি সফল এবং একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। যেমন ভূগোল, নগরায়ণ ও পরিবেশ; তেমনই শিল্পকলা সম্পর্কে রয়েছে তার একাধিক গ্রন্থ।

সফল শিক্ষক, গবেষক, নগরবিদ, পরিবেশবিদ এবং শিল্প সমালোচকের আশিতম জন্মবার্ষিকীতে এই সামান্য শ্রদ্ধাঞ্জলির শুরুতে শৈশবের নদীর কথা জানতে চেয়েছিলাম। বললেন, পদ্মা থেকে বের হয়ে মেঘনায় মেশা ছোট্ট নদীটির সুন্দর একটি নাম আছে, প্রশ্নের মুহূর্তে মনে পড়েনি। তবে দীর্ঘ বিরতির পর এখন তিনি প্রায়শই যেভাবে ভেদরগঞ্জের আরশীনগরে যাচ্ছেন, নামটি অচিরেই মনে পড়বে। আমি ও তিনি, দু'জনেই নিশ্চিত।

কে না জানে, যত বয়স হয় শৈশবের অনেক স্মৃতি উজ্জ্বল হতে থাকে। এটাও জানা কথা- বাংলাদেশেরও যত বয়স বাড়বে, এই রাষ্ট্রের শৈশবে-কৈশোরে অমূল্য অবদান রাখা অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মতো মানুষদের নাম ও অবদান ততই উজ্জ্বল হতে থাকবে। 

সূত্র: সমকাল

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0092861652374268