পটুয়াখালীর বাউফলে পঞ্চম শ্রেণীর মেধাবৃত্তি পাওয়া তিন শিক্ষার্থীর প্রায় পঁচিশ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ধানদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নামে। জানা গেছে, উপজেলার নুরাইনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরিফুল ইসলাম, আবু সালেহ রাশেদ ও আবদুল্লাহ আল কাফি ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাধারণ মেধাবৃত্তি পেয়ে ধানদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়।
নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা যে স্কুলে ভর্তি হবে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে টাকা তুলে শিক্ষার্থীদের হাতে দেবেন। ভর্তির পরে ওই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মাত্র ৩ হাজার ৪শত টাকা হাতে পেলেও আর কোন টাকা পায়নি তারা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গেজেট অনুযায়ী একজন শিক্ষার্থী পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাচ্ছেন ৮ হাজার ৭৫ টাকা । ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলার মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের বরাদ্দকৃত টাকা পেলেও তিন শিক্ষার্থী কি কারণে টাকা পায়নি তা তারা জানেনা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেধা তালিকায় থাকা উপজেলার সকল শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য টাকাটা পেলেও আমাদের টাকা দেয়া হচ্ছেনা। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক বাবুল আখতার, আবদুল ছত্তার ও হারুন অর রশিদ জানান, প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদের কাছে একাধিকবার টাকার জন্য গেলে তিনি জানান ওই টাকা অফিসে খরচ হয়ে গেছে।
প্রধান শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে টাকা পেয়েছে। বাউফল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, ধানদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টাকা উঠিয়েছেন, কেন দেয়নি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।