মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাতে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কিছু অসাধু শিক্ষকের নির্দেশে শিক্ষার্থীরা এইসব নিম্নমানের গাইড বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে। অভিযোগে জানা গেছে— উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা বইয়ের দোকানে ২য় শ্রেণি থেকে ৮ম শ্রেণির নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ে ছয়লাব হয়ে গেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড বিক্রি হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার বেশকিছু স্কুলের কিছু শিক্ষক ক্লাসের শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দের প্রকাশনীর গাইড বই কিনতে উদ্বুদ্ধ করছেন। প্রকাশনীর সঙ্গে ওই সব স্কুলের কিছু শিক্ষক নেতার বিশেষ সখ্যের কারণে গাইড বই ব্যবসা জমে উঠেছে। সৃজনশীল ও অনুশীলনমূলক বইয়ের নামে নিষিদ্ধ নোট বই ও গাইড বই কিনতে অভিভাবকদের বাধ্য করে মুনাফা লুটছে একটি অসাধু চক্র।
অভিভাবকরা জানান— কিছু শিক্ষক ক্লাসে কিছুটা পড়ানোর পর শিক্ষার্থীদের বলে দেন— বাকি অংশ অমুক প্রকাশনীর নোট বই কিনে সেখান থেকে পড়ে নিতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের নোট ও গাইড বই কিনতে কেউ বাধ্য করতে পারবে না, আইনত এটা নিষিদ্ধ। কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার বলেন, ‘৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সব ধরনের নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ। তাই যেকোনো নামেই হোক এ ধরনের গাইড বইর ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ বা শিক্ষকের বিরুদ্ধে গাইড ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’