রাণীনগরে মোবাইল চুরির অভিযোগে আউয়াল নামে এক কলেজছাত্রকে নির্যাতন করেছেন এক স্কুলশিক্ষক। ঐ ছাত্রকে চিকিত্সা বাবদ ৮ হাজার টাকা দিয়ে নির্যাতনের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার একডালা গ্রামে।
জানা গেছে, একডালা পূর্বপাড়া গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে আউয়ালসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে ঐ গ্রামে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে পিকনিক করে। সে সময় একই গ্রামের ফাহিম নামের এক বন্ধুর একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন চুরি যায়। বিষয়টি নিয়ে ফাহিমের পরিবারের লোকজন ও গ্রামের কতিপয় মাতব্বর স্থানীয় একজন গণকের কাছে যান। তিনি জানান, মোবাইল ফোনটি আউয়াল চুরি করেছে।
এ ঘটনার সূত্র ধরে মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লুত্ফর রহমান ও তার একজন সহযোগী গত বুধবার বিকালে কৌশলে আউয়ালকে ডেকে নেয়। তারা সাখাওয়াত হোসেন বাবুলের বাড়িতে নিয়ে লাঠি ও পাইপ দিয়ে আউয়ালকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। আউয়াল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিত্সকের কাছে নেওয়া হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শুক্রবার রাতে বৈঠক করে চিকিত্সা বাবদ ৮ হাজার টাকা খরচ দেয়।
কলেজছাত্র আউয়ালের বাবা আলাউদ্দীন বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। ছেলেকে নির্যাতনের কথা শুনে শুক্রবার বাড়িতে এসেছি। শুক্রবার বৈঠকে বসে চিকিত্সা বাবদ খরচ প্রাথমিকভাবে ওরা ৮ হাজার টাকা দিয়েছে এবং আরো লাগলে দেওয়া হবে—এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে মীমাংসা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ছেলেকে চিকিত্সা দিতে ঢাকায় নিয়ে গেছেন বলে মোবাইল ফোনে জানান তিনি ।
অভিযুক্ত শিক্ষক লুত্ফর রহমান বলেন, মোবাইল চুরি করেছে এমন সন্দেহে আউয়ালকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছি। তবে চিকিত্সা বাবদ কিছু খরচ দিয়ে শুক্রবার বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
রাণীনগর থানার ওসি মো. জহুরুল হক বলেন, আমার কাছে কেউ আসেনি বা আমাদেরকে কেউ কিছু জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।