টেস্টে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ব্যর্থতার অন্যতম কারণ তুলনামুলক কম ম্যাচ ফি। পারিশ্রমিক কম হওয়ায় পাঁচদিনের টেস্ট খেলতে আগ্রহ দেখান খুব কম ক্রিকেটারই। এমন মত বিশেষজ্ঞদের। ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর পাশাপাশি আরো সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি তাদের। একইসঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নয়নও জরুরি বলে মনে করেন ক্রিকেট কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। টেস্টে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ব্যর্থতার পোস্টমর্টেমে আজ থাকছে ম্যাচ ফি ইস্যু।
একটা টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা পান সাড়ে তিন লাখ টাকা। অঙ্কটা বেশি মনে হচ্ছে! ভ্রু কুঁচকানোর আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকটা শুনুন। প্রতিটি টেস্ট ম্যাচের জন্য কোহলিরা পান বাংলাদেশি টাকায় প্রায় বিশ লাখ টাকা। যেটি বাংলাদেশের প্রায় ছয়গুণ বেশি।
কেবল ভারতীয়রাই নন, টেস্টে বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি ম্যাচ ফি পান ইংলিশ ক্রিকেটাররা, প্রায় চারগুণ বেশি পান অস্ট্রেলিয়ানরা। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমনকি শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা বেশি পান মুশফিক-মুমিনুলদের চেয়ে। পারিশ্রমিকের এমন তফাৎই কি মাঠে ব্যবধান গড়ে দেয়?
বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, পারিশ্রমিক হয়তো কারণ। কেনও বাংলাদেশি ছেলেরা টেস্ট খেলতে চাচ্ছে না। হয়ত কোনও না কোনও কারণ থাকতে পারে।
বিভিন্ন সময়ে বিসিবি সভাপতি সহ অনেকের মুখেই শোনা গেছে, টেস্ট খেলতে ক্রিকেটারদের অনীহার কথা। সেখানেও পারিশ্রমিকই বড় প্রভাবক।
বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, রেগুলার টেস্ট ম্যাচ হলে উৎসাহর ভাটা পড়বে না। হঠাৎ করেই কোনও কিছু হয় না। খেলা বাড়াতে হবে।
কেবল ক্রিকেটারদের ফি বাড়ালেই হবেনা, ব্যয় বাড়াতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটেও। সংযোজন করতে হবে নতুন প্রযুক্তিরও। এমনটাও মত এই বিশেষজ্ঞ কোচের।
বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, কোনও টিম একটা শেখার জায়গা নেই। যে খেলবে অপনিয়ন দলের কোথায় ঘারতি তা দেখাতে হবে। ২০ বছর আগে আমরা যেমন খেলেছে এখনও তেমন আছে।
সম্প্রতি ক্রিকেটারদের আন্দোলনের মুখে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়েছে বিসিবি। তবে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে বাড়েনি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক।