নতুন যাত্রা শুরু করা ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রথম পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবরে। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০২০ খ্রিস্টাব্দের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাও হবে এই বোর্ডের অধীনে। এতে অংশ নেবে চার জেলার শিক্ষার্থীরা। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর। এই চার জেলার জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ তত্ত্বাবধান এবং উন্নয়নের কাজ পরিচালনা করে আসছে বোর্ডটি। এর আগে এই জেলাগু্লো ঢাকা বোর্ডের অধীনে ছিলো।
এখনও নিজস্ব ভবনের বন্দোবস্ত না হলেও বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার থেকে ডেপুটেশনে আসা মাত্র ১৪ জন কর্মকর্তা নিয়ে পুরোদমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান ও সচিব। জনবলের অভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে, তবু থেমে থাকেনি বোর্ডের কার্যক্রম। নিয়ম মোতাবেকই স্কুল-কলেজের রেজিস্ট্রেশন, পরিদর্শন, নবায়ন, পাঠদান, স্বীকৃতি ও অনুমোদনের কাজ ঠিকই পরিচালিত হচ্ছে।
২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ১৩ অক্টোবর ঘোষণা ময়মনসিংহ বিভাগ করা হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড গঠনের কাজ। এরপর ২০১৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে নবম ও সব শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ১১ তম হিসেবে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন দেন। আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ওই বছরের ২৮ আগস্ট। একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর বোর্ডের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় শহরের আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. গাজী হাসান কামালকে।
বোর্ডসূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের মূল ভবন হবে ব্রক্ষপুত্র নদের ওপারে। বোর্ডের জন্য ইতোমধ্যেই ৫ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ময়মনসিংহ সফরে বোর্র্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে। এখন আপাতত ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ভবনের ৫ থেকে ৬টি কক্ষে চলছে বোর্ডের কার্যক্রম।
শিক্ষা বোর্ডের সূত্র জানায়, মাত্র পাঁচজন কর্মকর্তা নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম শুরু করেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামাল। গত বুধবার (১০ অক্টোবর) উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, উপস্কুল পরিদর্শকসহ ডেপুটেশনে আরও আট কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে পৃথক হলেও এখনও তাদের সহায়তা নিয়েই কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের। এই বোর্ডের কার্যক্রম পুরোমাত্রায় সচল করতে ১৭৫ জনের মতো জনবল প্রয়োজন। সেখানে সাকুল্যে মাত্র ১৪ জন কর্মকর্তা নিয়ে কোনমতে চলছে কার্যক্রম।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সচিব কিরিট কুমার দত্ত জানান, চেয়ারম্যানসহ আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্র্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামাল দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ওই বছরের অক্টোবর মাসের দিকে আমাদের বোর্ডের অধীনেই প্রথম এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ডিসেম্বরে হবে প্রথম ফলাফল।