লেখাপড়ায় উৎসাহী করতে ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১১ হাজার কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন । এসব কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে ল্যাপটপ, স্মাট মোবাইল সেট, দামী ক্যালকুটের, স্কুল ব্যাগসহ শিক্ষা উপকরণ এছাড়াও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার টাউন হল মাঠে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শুধু জিপিএ-৫ পেলেই হবে না। মানুষের মতো হতে হবে। আবরার হত্যাকারীরা মেধাবী ছিল। কিন্তু মনুষ্যত্ব ছিলনা। সততা ছাড়া মেধার কোন মুল্য নেই। দক্ষতা ছাড়া কর্ম মুল্যহীন। একজন ভিক্ষুকও সরকারকে ট্যাক্স দেয়। সেই ট্যাক্সের টাকায় সরকার শিক্ষার্থীর পিছনে খরচ করে উচ্চ বানায়। জনগণের অর্থে শিক্ষিত হয়ে জনগনের সেবা করতে হবে।
এই সংবর্ধনা প্রদানের উদ্যোক্তা ইকরামুল হক টিটু ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার ২০১২ সালে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আরো উৎসাহ দিতে এই সংবর্ধনা আয়োজন করেন। একাধারে ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বছর প্রতি বছর জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দিয়ে আসছেন। বর্তমান সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু সর্বশেষ ২০১৯ সালে ২২ নভেম্বর পৌণে ২ হাজার কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল আলোচনা সভা, সনদ ও পুরস্কার বিতরণ ও সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মেয়র ইকরামুল হক টিটুর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি, সরকারী এ এম কলেজের অধ্যক্ষ নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক, মুমিনুন্নেনিছা সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ চিত্ত রঞ্জন চক্রবর্তী, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ ড. একে এম আবদুর রফিক, জিলাস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহছিনা খাতুন, বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলরদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শফিকুল ইসলাম শফিক ও তাজুল ইসলাম।
২০১৮ সালে ময়মনসিংহ পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়। সরকার তার সাফল্যের বিবেচনা করে ইকরামুল হক টিটুর মেয়র পদ বিলুপ্ত হওয়ার পর তাকে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০১২ সালে যখন সংবর্ধনা দেন তখন ৭ শ্রেণী পড়–য়া এক শিক্ষার্থী তার ভাইয়ের সংবর্ধনা দেখে সে উৎসাহিত হয়েছিল এক শিক্ষার্থী। সেও ভাল ফলাফল করবে এই সংবর্ধনা নেয়ার জন্য এবার সে এসএসসি ভাল করে সে সংবর্ধনা গ্রহণ করেছে আলোচনা সভায় সে নিজে সাফল্যের গল্প শুনালেন কৃতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।