ঢাকার কথিত স্বনামধন্য এক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম আমি। আরো প্রায় ৪ বছর আগে এসএসসি পাস করেছি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে। নবম-দশম শ্রেণিতে থাকাকালে দেখেছি প্রাইভেট পড়ার জন্য শিক্ষদের শিক্ষার্থীদের ওপর নানারকম মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে। পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া ছিল তার মধ্যে অন্যতম। আমিও এমন একজন শিক্ষকের কাছে পড়েছিলাম বেশ কিছুদিন। তিনি পড়াতেন খুব ভালো, কিন্তু স্কুলের একটি পরীক্ষার আগের দিন সাজেশনের নামে তিনি প্রায় পুরো প্রশ্নপত্রই তুলে দিয়েছিলেন আমাদের হাতে। পরের দিন পরীক্ষায় কিছু ছাড়া হুবহু কমন পড়েছিল সে সাজেশন থেকে।
গত ৪ অক্টোবর দৈনিক ইত্তেফাকের তৃতীয় পৃষ্ঠায় ‘প্রাইভেট না পড়ায় হয়রানির শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে একটি খবর ছাপা হয়। খবরটি পড়েই ব্যক্তিগত এ অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল। এখানে একটি বিদ্যালয়ের কথা সরাসরি এসেছে, প্রমাণও মিলেছে ঘটনার। বোঝা যাচ্ছে এমন ঘটনা শুধু অতীতেই ঘটেনি, এখনো চলছে। ভবিষ্যতে কতদিন চলবে তা অজানা। এমনকি এখানে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানসিকসহ শারীরিক নির্যাতনের কথাও এসেছে। জেলা প্রশাসকের মতে, জেলা শিক্ষা অফিসার স্থানীয় হওয়ায় বিশেষ করে দুর্বল মনিটরিংয়ের কারণে এ দৈন্যদশা। এছাড়া নারী প্রধানশিক্ষক না থাকাকেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। কিন্তু সমস্যার মূলে কি শুধু এ কারণগুলোই মুখ্য?
লেখক: শিক্ষার্থী, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়