যত্রতত্র অনার্স খুলে শিক্ষিত বেকার তৈরি করে ফেলেছি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চাই না। তাই সরকার কর্মমুখী ও কারিগরি শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করছে।
বৃহস্পতিবার ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলনটি রাজধানীর কাকরাইলে ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে (ইইডি) অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করতে কাজ করছে সরকার। পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলোকে আরও উন্নত করার কাজ করছে সরকার। পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটগুলোর শিক্ষক সংকট দূরীকরণে শিগগিরই ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দক্ষ জনশক্তি গঠনে প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
সমিতির সভাপতি আলতাফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ইইডি প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার বুলবুল আক্তার ও ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি একেএমএ হামিদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যত্রতত্র অনার্স-মাস্টার্স কলেজ ও বিষয় খোলার অনুমতি দেয়া শুরু করে। অদ্যাবধি সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন গত কয়েক বছরে শুধু যত্রতত্র অনার্সই খোলার অনুমতি দেয়নি, এই কলেজগুলোকে কথিত র্যাংকিং করারও উদ্যোগ নিয়েছে। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা র্যাংকিং অবশ্য শিক্ষাবিদরা গ্রহণ করেননি। অভিভাবকদের কাছেও র্যাংকিংয়ের কোনও মূল্য নেই বলে জানা গেছে।