যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কখনোই মানুষে মানুষে ভেদাভেদ করেননি। তিনি চেয়েছিলেন, মানুষের মধ্যে এবং অঞ্চলের মধ্যে কোনো সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দূরদর্শী ছিলেন। জীবদ্দশায় বাংলাদেশের জন্য যে সব সিদ্ধান্ত ও দিকদর্শন তিনি দিয়েছিলেন, তাঁর সফল বাস্তবায়ন করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিন অধ্যাপক ড. শেখ মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. নাজমুল হাসান, শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন, বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের প্রভোস্ট ড. শিরীন নিগার, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুর রশীদ, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাজেদুর রহমান জুয়েলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে যবিপ্রবির ১৫ আগস্টের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন যশোর শহরস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে যবিপ্রবি উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংগঠনের নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্বাবদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম।