যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সিন্ডিকেটের দাবিকৃত ১৭ লাখ টাকা না দিতে পারায় পিএ পদে চাকরি হলেও যোগদান করতে পারেননি মুনজুরুর রহমান নামে এক যুবক। সোমবার (২২ জুন) যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি। এর আগে যশোর সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এ যুবক। মুনজুরুর রহমান যশোর সদর উপজেলার বানিয়ালী গ্রামের অলিয়ার রহমানের ছেলে।
তার অভিযোগ, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ আগস্ট তিনি পিএ পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ ফোন করে তাকে ওই বছর ৮ সেপ্টম্বর যোগদান করতে বলেন। কিন্তু নির্ধারিত দিনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে তাকে সিস্টেম অনুযায়ী আসার কথা বলা হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন তৎকালীন পিএস এটিএম কামরুল হাসানের সাথে কথা বললে তার কাছে ১৭ লাখ টাকা চাওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কথা বলতে আমি বেশ কয়েকদিন ভিসির সাথে দেখা করতে যাই। কিন্তু আমাকে একবারও তার সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। সর্বশেষের দিন ভিসির রুম থেকে ফিরে তার পিএস বলেছেন ‘স্যার তোমাকে ঘাড় ধরে বের করে দিতে বলেছেন।’
মুনজুরুর রহমানের দাবি, কোনো ধরনের যোগাযোগ ও তদবির ছাড়াই সম্পূর্ণ মেধায় আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। এজন্য আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি। এরপর আমাকে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে টাকা দিয়ে যোগদান করতে বলা হয়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ চারদিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা দিয়ে যোগদান করতে বলেছেন। কিন্তু এত টাকা দেয়ার সমর্থ আমার নেই। এজন্য আমাকে চাকরিতে যোগদান করতে দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে আবদুর রশিদ অর্নবের মতামত জানতে চাওয়ার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।