করোনা ভাইরাসের দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে যশোরে জেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তির ৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জেলার ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থীকে এ টাকা পৌঁছে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের টাকা দেয়া হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেন জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও মাসিক ফলাফলের ভিত্তিতে উপবৃত্তির তালিকা করা হয়। তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা পায়। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে শুরু করার কারণে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে উপবৃত্তির টাকা দেয়া শুরু করা হয়। এ মাসের (জুন) প্রথম দিকে জেলার আট উপজেলার ১ লাখ ৯১ হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থী দেয়া হয়েছে উপবৃত্তির ৫ কোটি ২৮ লাখ ১৮ হাজার ২২৫ টাকা। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৪৩ হাজার ৮৩৭ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা। মণিরামপুরের ৩০ হাজার ১২৩ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে ৮৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫০ টাকা। বাঘারপাড়ার ১৪ হাজার ৬৫৬ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৪৭৫ টাকা, চৌগাছার ১৯ হাজার ৭৮৫ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে ৫৫ লাখ ১৮ হাজার ৬২৫ টাকা, ঝিকরগাছার ২৪ হাজার ১০৮ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৫ টাকা, শার্শার ২৩ হাজার ৭৪০ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে ৬৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা, কেশবপুরের ১৮ হাজার ৮৩০ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে ৫২ লাখ ২৪ হাজার ৭৫০ টাকা, অবয়নগরের ১৬ হাজার ১১৫ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে ৪৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
উপশহর শহীদ স্মরনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাদ হোসেন বাবু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা পেয়েছেন। টাকা পাওয়ার পর অনেক অভিভাবক তাকে এসে জানিয়েছেন।
একই কথা জানান বিরামপুর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা খাতুন।