যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি স্থানীয় সময় বুধবার সব রাজ্যের গভর্নরদের কাছে এই আহ্বান জানান। স্কুল খোলা নিয়ে হোয়াইট হাউজের করোনা টাস্কফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ড. অ্যান্থনি ফাউচির স্কুল খোলার বিরোধিতারও কড়া সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দেশটিতে ‘স্টে হোম’ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও অনেক রাজ্য সেটি মানছে না। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও আলজাজিরা’র
হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গভর্নরদের উদ্দেশে বলেন, তাদের উচিত স্কুল খুলে দেওয়া। আমি মনে তাদের এটা করা উচিত। তিনি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাত্কারে দেওয়া বক্তব্য পুনরায় উত্থাপন করে বলেন, আমাদের দেশ পেছনে গিয়েছিল এবং যতো দ্রুত সম্ভব ফিরে আসবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি না যে স্কুল খুললে দেশ পিছিয়ে যাবে।
স্কুল খোলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ’র পরিচালক অ্যান্থনি ফাউচি বলেছিলেন স্কুল খুলে দিলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত স্কুল খুলে দেওয়ার বিরোধিতা করেন তিনি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সেই মতামতকে মানতে চান না। তিনি এই সতর্কবার্তাকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, দেখুন তিনি সমীকরণের সব দিকেই খেলেন। তার উত্তরে আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। কারণ আপনারা জানেন যে এটা আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য উত্তর, বিশেষ করে যখন এটা স্কুলের প্রশ্ন। ট্রাম্প বলেন, কেবল একটি বিষয় গ্রহণযোগ্য হতে পারে তাহলো বয়স্ক শিক্ষকদের কাজ যোগ দেওয়ার আগে কয়েক সপ্তাহ বেশি সময় দেওয়া। কারণ এই রোগটি বয়স্কদের ওপর এবং স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।
‘স্টে হোম’ নিষেধাজ্ঞা মানছে না অনেক রাজ্য: যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের বিস্তার রোধে ‘স্টে হোম’ বা ‘বাড়িতে থাকো’ অর্ডার দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই নির্দেশনা মানছে না অন্তত নয়টি রাজ্য। এসব রাজ্যে প্রায় ৯০ লাখ মানুষের বাস। আর বাকি ৪১ টি রাজ্যে বাস করেন ৩০৫ মিলিয়ন (৩০ কোটির বেশি মানুষ)।
৯ টি রাজ্যের গভর্নররা কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে নর্থ ডাকোটা, নেব্রাস্কা, আইওয়া, আরকানসাস, উটাহ, উইওমিং, সাউথ ক্যারোলিনা এবং ওকলাহোমাসহ নয়টি রাজ্য। নর্থ ডাকোটা গভর্নর ডৌগ বারগাম মনে করেন, স্টে হোম অর্ডারের কোনো প্রয়োজন নেই। আরকানসাসের গভর্নর আচা হাসিনসন নিজেরা কিছু নিয়ম করেছেন যার ফলে অনেক মানুষ বেকার হওয়া থেকে বেঁচে যাচ্ছেন।