পঞ্চগড়ে জেলার সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের বাসিন্দ স্বাধীনতা যুদ্ধবিরোধী শান্তি কমিটির সদস্য খামির উদ্দীন প্রধানের নামে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটির আলিম স্তর এবার এমপিওভুক্ত হয়েছে। এতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে চাকলা খামির উদ্দীন দাখিল মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার এক বছরের মাথায় ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্ত হয়। মাদরাসা ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে আলিম শাখার একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে।
এ নিয়ে এলাকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনমানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। শান্তি কমিটি'র অন্যতম সদস্যের নামে কীভাবে এই প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়? সারাদেশে যখন স্থানীয়ভাবে যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদর, আল সামসদের তালিকা সরকার প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঠিক ওই সময় চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি!
এমপিওভুক্তি বাতিল অথবা এর নাম পরিবর্তন করে একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন:
সরকারিকৃত কলেজও এমপিওভুক্তির তালিকায়!
শিক্ষার্থী নেই তবুও এমপিওভুক্তি!
পঞ্চগড়ের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, কুখ্যাত রাজাকার খামির উদ্দীনকে ১৬ ডিসেম্বরের পর বেঁধে আনা হয়। তারপর কীভাবে যেন বেচেঁ গেছে।