টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিত স্কুলছাত্রী (১৩) স্থানীয় আলহাজ আইন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার(২১ এপ্রিল) উপজেলার চরাঞ্চল দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনায় নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন (৩২) একই গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের ছেলে ও দপ্তিয়র ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামের শাহাদৎ হোসেনের ছেলে যুবলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন একই গ্রামের রশিদ সিকদারের মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই ছাত্রীকে ডেকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায় সাজ্জাত। পরে তাকে পাশের তোতা সিকদারের বাঁশবাগানে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে।
এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে মুখ বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে বাগানে ফেলে যায় ওই যুবলীগ নেতা। পরে স্কুলছাত্রীর স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর ওই বাঁশবাগান থেকে তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়।
ঘটনাটি জানাজানি হয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। মিলিত হয় একাধিকবার সালিশ বৈঠকে। বিষয়টি অমীমাংসিত থাকায় বাধ্য হয়ে ও বিচার দাবিতে সোমবার নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় মামলা করেছেন।
এ নিয়ে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের জালাই গ্রামের ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রোশনাই সিকদার বলেন, ধর্ষণের বর্ণনা আমি ওই স্কুলছাত্রীর মুখ থেকে শুনেছি। বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টাও করা হয়েছে। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
নাগরপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মীর আহম্মেদ শাহীন জানান, ঘটনার পরপরই দপ্তিয়র ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাত হোসেনকে কেন বহিষ্কার করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে নাগরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।