৭১ বছর বয়সী ওমর ফারুক যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে যুবলীগ থেকে ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি করা হয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই সিদ্ধান্ত ছাড়াও যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করার কথা জানান।
তিনি বলেন, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়েছে। যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সবাইকে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস হবে। তার আগ পর্যন্ত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিই সংগঠনের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে বলে ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
গত মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনো চালানোর বিষয়টি ধরা পড়ার পর তাতে যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে। এর সঙ্গে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগও উঠে আসে যুবলীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে।
ক্যাসিনোকাণ্ডে এরইমধ্যে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক শুরুতে এই অভিযানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেও পরে সুর নরম করেন।
তার বিরুদ্ধেও অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়, ওমর ফারুকের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে।
এসব ঘটনায় বেশ কিছু দিন ধরে প্রকাশ্যে আসছেন না ওমর ফারুক চৌধুরী। তার অনুপস্থিতিতেই সম্প্রতি যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রোববারের এই বৈঠকেও তাকে রাখা হয়নি।
শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি ওমর ফারুক চৌধুরী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আসেন ২০০৯ সালে তৎকালীন চেয়াম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক মন্ত্রিত্ব ও আওয়ামী লীগে পদ পেলে।
পরে ২০১২ সালে যুবলীগের ষষ্ঠ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তিনি। তারপর থেকে টানা সাত বছর এই পদে ছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী।