যে কম্পিউটার চাঁদে গিয়েছিল - দৈনিকশিক্ষা

যে কম্পিউটার চাঁদে গিয়েছিল

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

চাঁদের বুকে মানুষের অবতরণের অর্ধশতক পূর্ণ হলো। মানবেতিহাসের এ বৈপ্লবিক ঘটনাটি সম্ভব করতে যে কম্পিউটারটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, সেটির মেমোরি ছিল ৮০ কিলোবাইটেরও কম! শুধু তা-ই নয়, কম্পিউটারটি প্রতি সেকেন্ডে মাত্র ৪০ হাজার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারত। যেখানে বর্তমানে একটি সাধারণ ল্যাপটপও সেকেন্ডে ১ হাজার কোটি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারে!খবর ম্যাশেবল-এর।

অ্যাপোলো ১১-এর নভোচারীরা এমন শক্তিশালী কম্পিউটার নিয়েই চাঁদে নেমেছিলেন! কম্পিউটারটির নাম অ্যাপোলো গাইডেন্স কম্পিউটার বা এজিসি। এর ওজন ছিল ৭০ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ৩২ কেজি! এটিতে আজকের মতো কোনো অপারেটিং সিস্টেম ছিল না, বরং এর হার্ডওয়্যারে প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম হাতে করে জুড়ে দেয়া হয়েছিল। এ ধরনের হার্ডওয়্যারকে বলে কোর রোপ মেমোরি।

ব্যাপারটি হাস্যকর মনে হলেও সে সময় এটি ছিল একটি বৈপ্লবিক কাজ। বিংশ শতকের পঞ্চাশের দশকে এমন একটি কাজ করে দেয়ার মতো আজকের সিলিকন ভ্যালি ছিল না। ফলে কাজটি নাসাকেই করতে হয়েছিল।

এজিসি তৈরির কাজটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ফিলিপ হ্যাটিস। তিনি তখন এমআইটির গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট। তিনি বলেন, আইবিএমের ঢাউস আকৃতির মেইনফ্রেম কম্পিউটারের যুগে এজিসির মতো একটি কম্পিউটার বানানো ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারণ একটি স্পেসশিপে জায়গা থাকে খুব মাপা আর জ্বালানিও খুব হিসাব করে খরচ করতে হয়। এমনকি এখনো মাত্র ১ পাউন্ড ওজনের একটি বস্তুতে কক্ষপথে স্থাপন করতে খরচ হয় ১০ হাজার ডলার।

এ ছাড়া কম বিদ্যুৎ খরচের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৭০ ওয়াট বিদ্যুতে চলতে সক্ষম এজিসি বানাতে সক্ষম হন তারা। এ কাজে বিপুল অর্থ খরচের পাশাপাশি অনেক দক্ষ প্রকৌশলীকে রাত-দিন খাটতে হয়েছে।

অ্যাপোলো ১১ মিশনে দুটি এজিসি ব্যবহার করা হয়েছিল। একটি হলো কমান্ড মডিউল, যেটি নভোচারীরা মূল নভোযানে রেখেছিলেন। অন্যটি লুনার মডিউল, যেটি নিয়ে চাঁদে অবতরণ করেন বাজ অলড্রিন ও নিল আর্মস্ট্রং।

নভোচারীরা এ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতেন ডিএসকেওয়াই বোর্ডের মাধ্যমে। এটিতে মূলত কিছু সংখ্যা ছিল। এটি ব্যবহারের জন্য কোন সংখ্যাটি দিয়ে ‘ক্রিয়া’ আর কোনটি দিয়ে ‘বিশেষ্য’ বোঝায় তা মুখস্থ করতে হয়েছিল।

পুরো চন্দ্রাভিযান নিয়ন্ত্রণ ও নভোচারীদের সহায়তার জন্য নাসার ভূস্টেশনে মিশন কন্ট্রোল রুমে বহু কম্পিউটার ও প্রকৌশলী ছিলেন। কিন্তু নভোচারীদের নিয়মিত কিছু সংশোধনের ভেতর দিয়ে যেতে এজিসির বিকল্প ছিল না। কারণ তাদের একদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী সোভিয়েত ইউনিয়ন, অন্যদিকে লুনার প্রোবের সঙ্গে সৃষ্ট যোগাযোগ বিভ্রাট এড়িয়ে চলতে হয়েছিল।

স্কুল-কলেজ, মাদরাসা খুলবে ২৮ এপ্রিল - dainik shiksha স্কুল-কলেজ, মাদরাসা খুলবে ২৮ এপ্রিল সাত দিন বন্ধ ঘোষণা প্রাথমিক বিদ্যালয় - dainik shiksha সাত দিন বন্ধ ঘোষণা প্রাথমিক বিদ্যালয় তীব্র গরমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা - dainik shiksha তীব্র গরমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে : ড. আইনুন নিশাত - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে : ড. আইনুন নিশাত কারিগরির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha কারিগরির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি মাদরাসায় ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha মাদরাসায় ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0041799545288086