১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল ইতোমধ্যে প্রস্তুত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু রোববার (২০ অক্টোবর) লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা থাকলেও তা করা হয়নি। পাঁচটি জেলা থেকে শূন্যপদের তথ্য এনটিআরসিএতে না পৌছানোয় আজ ফল প্রকাশ করা হচ্ছেনা বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছে এনটিআরসিএ সূত্র। জেলা বা উপজেলাভিত্তিক শূন্য পদের প্রেক্ষিতে প্রার্থীদের পাস করানো হচ্ছে না বলেও দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল গতকাল বুধবার প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ ফল প্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও তা হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবারের মধ্যে শূন্য পদের তালিকা এনটিআরসিএ পাঠানোর কথা থাকলেও খুলনা, ফেনী ও ফরিদপুর জেলা থেকে আজ রোববার পর্যন্ত তা পাঠাননি তিন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
এদিকে এনটিআরসিএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, রোববার ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তবে, এ সপ্তাহেই ফল প্রকাশ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তা আরও জানান, নভেম্বর মাসে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
ফল তৈরিতে উপজেলা বা জেলাভিত্তক শূন্যপদের তালিকা অনুসরণ করা হচ্ছেনা বলেও দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ফল প্রকাশের আগে অনুষ্ঠানিকতা রক্ষায় শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা বা উপজেলাভিত্তিক শূন্যপদের ভিত্তিতে প্রার্থীদের উত্তীর্ণ করা হবে বলে যেসব ফেসবুক পোস্ট দেখছেন তা অপপ্রচার।
এনটিআরসিএর ওই কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ১৫তম নিবন্ধনে লিখিত পরীক্ষার ফল এনটিআরসিএর নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (http://ntrca.teletalk.com.bd/result/) প্রকাশ করা হবে। ওয়েবসাইটে রোল নম্বর ইনপুট করে প্রার্থীরা ফল জানতে পারবেন। এছাড়া উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এসএমএস করে জানানো হবে। এছাড়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফল অনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের বিষয়টি জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ ও ২৭ জুলাই ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ দেড় লাখ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৯ মে ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার পরীক্ষার্থী। পাসের হার ছিল ২০ দশমিক ৫৩ ভাগ। উত্তীর্ণদের মধ্যে স্কুল পর্যায়ের ৫৫ হাজার ৫৯৬ জন, স্কুল পর্যায়-২ এর ৪ হাজার ১২৯ জন এবং কলেজ পর্যায়ের ৯২ হাজার ২৭৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রিলিমনারিতে ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন।