আর নতুন এমপিওভুক্ত ৪৯৯টি মাদরাসা শিক্ষকদের বকেয়াসহ বেতন পেতে কোন কোন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসব তথ্য দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের শিক্ষকদের অগ্রণী ব্যাংকে, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের শিক্ষকদের রূপালী ব্যাংকে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের শিক্ষকদের জনতা ব্যাংকে এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শিক্ষকদের সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়েছে
একই সাথে সোনালী, অগ্রণী জনতা ও রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপককে চিঠি পাঠিয়ে নতুন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৪৯৯টি মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর আবেদন আজ শনিবার ২ মে থেকে শুরু হয়েছে। মেমিস সফটওয়ারের মাধ্যমে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন করতে হবে। তবে, তার আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মেমিসের আইডি পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওর আবেদন করতে হবে।
আর আগামী ১৩ মের মধ্যে মেমিস সফটওয়ারে নতুন এমপিওভুক্ত মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও আবেদন অগ্রায়ন করতে আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের নির্দেশনা দিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার নতুন এমপিওভুক্ত মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত ভাবে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৪৯৯টি মাদরাসা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। ৫৮টি তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
এমপিওভুক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৪৯৯ মাদরাসার মধ্যে ৩২৪টি দাখিল মাদরাসা, ১১৯টি আলিম মাদরাসা, ৩৪টি ফাযিল মাদরাসা ও ২২টি কামিল মাদরাসা আছে। আর তালিকা থেকে ৩৪টি দাখিল মাদরাসা, ৯টি আলিম মাদরাসা, ৮টি ফাযিল মাদরাসা এবং ৭টি কামিল মাদরাসা চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই থেকে বেতন ভাতা পাবেন। আর কোন প্রতিষ্ঠান যোগ্যতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে তার এমপিও স্থগিত করা হবে।