বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশের পরও প্রায় ৪ হাজার ৮০০ নিবন্ধিত প্রার্থী নির্ধারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে যোগদান করেনি। সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদানে বাধা, পছন্দ সই পদে সুপারিশ না পাওয়া এবং সুপারিশে জটিলতায় এসব প্রার্থীরা যোগদান করেননি। এসব পদ পূরণ করতে এখন দ্বিতীয় মেধা তালিকায় নির্বাচিত প্রার্থীদের সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ সূত্র।
জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। আর ৩১ জানুয়ারি সুপারিশ পত্র প্রকাশ করা হয়। পর থেকে শুরু হয় যোগদান কার্যক্রম। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে।
এনটিআরসিএর একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, শিক্ষক নিবন্ধিত প্রার্থীরা মনোনীত হলেও দূরে হওয়ায় অনেকে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেননি। ননএমপিও পদে সুপারিশ পেয়েও পরবর্তী ধাপের নিয়োগ সুপারিশ পেতে আগ্রহীরাও অনেকে যোগ দেননি। অনেকে আবার যোগদান করতে গেলেও তাকে নিয়োগে বাধা দেয়া হয়। এ কারণে এনটিআরসিএর সুপারিশ করা প্রায় ৪০ হাজার পদের মধ্যে ৪ হাজার ৮০০ নিবন্ধিত যোগদান করেননি।
কর্মকর্তারা আরও জানান, বর্তমানে এসব পদে নিয়োগ দিতে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় প্রার্থীদের মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদের যোগদানের জন্য নতুন করে সময় দেয়া হবে। তবে যদি কেউ যোগদান করতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন তবে সেখানে কেন এবং কোন নির্বাচিত প্রার্থীকে নিয়োগ করতে দেয়া হয়নি তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে।
অন্যদিকে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ১ হাজার ৯৫ জন কম্পিউটার বিষয়ক শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হলেও মামলার কারণে গত দুই বছর তা আটকে ছিল। গত বছর ডিসেম্বরে আইনি জটিলতা কেটে গেলে গত ডিসেম্বরে ১ হাজার ৪৮টি আইসিটি পদে নিয়োগ সুপারিশের তালিকা প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ইতোমধ্যে প্রায় ৭০০ জন।
তবে অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ায় নতুন করে আর যোগদান করেনি। ফলে অবশিষ্ট পদগুলোতেও দ্বিতীয় মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনটিআরসিএ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেন, প্রথম ধাপে যারা যোগদান করেননি তাদের পরিবর্তে সেসব স্থানে দ্বিতীয় মেধা তালিকায় নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া কম্পিউটারসহ বেশ কিছু পদে সুপারিশ পেয়ে অনেকে যোগদান করেননি। এ প্রেক্ষিতে যেসব পদ শূন্য রয়েছে সেসব পদে আবার ২য় ধাপের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।