যৌতুকের জন্য স্বামী-শ্বশুরসহ পরিবারের নির্যাতনের শিকার এক সরকারি স্কুলশিক্ষিকার নারী নির্যাতন মামলায় ওই পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস আলেয়ার আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ জারি করেন। আসামিরা হলো- শিক্ষিকার স্বামী রবিউল হোসেন, শ্বশুর লোকমান চৌধুরী, শাশুড়ি নূর নাহার বেগম এবং ননদ রাজু আক্তার।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান জানান, রবিউল হোসেন বোয়ালখালী থানাধীন উত্তর গোমদন্তী এলাকার ফুলচান চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা লোকমান চৌধুরীর ছেলে। সে পটিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মরত থাকাবস্থায় স্থানীয় কেলিশহর এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ওই শিক্ষিকার সঙ্গে প্রণয় সূত্রে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১০ অক্টোবর বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হয়। আসামি এর আগে এক স্ত্রী ও সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন করে প্রতারণার আশ্রয় নেয়। কাবিননামায় আসামি নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দেয়। এরপর আসামি ও তার পরিবার ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে ওই শিক্ষিকাকে নির্যাতন শুরু করে।
সর্বশেষ গত ১২ জুলাই বিকেলে পটিয়া কলেজের পূর্ব পাশে ওই শিক্ষিকার ভাড়া বাসায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ গিয়ে যৌতুক দাবি করে। এ দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানালে সবাই শিক্ষিকাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করে ওই শিক্ষিকাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।