দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার হাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জয়ারাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে। তার স্বামী উত্তর দহরবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী মাসিক বেতনের চেক ও ১০ লাখ টাকার যৌতুকের দাবি করে গত ১৩ এপ্রিল শারীরিক নির্যাতন করেছেন অভিযোগ করে চিরিরবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে দৈনিক শিক্ষা ডটকম কে নিশ্চিত করেছেন চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার।
মামলায় উত্তর দহরবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলীসহ তার ভাই সোলেমান ও মা সুজনা বেওয়াকে আসামী করা হয়েছে। ইয়াকুব আলী উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামের মৃত সাহহাবুদ্দিন সরকারের ছেলে। ১৮ বছর আগে ইয়াকুব ও মঞ্জয়ারাকে বিয়ে হয়। এর শিক্ষক দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল রাতে স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন শিক্ষক ইয়াকুব আলী। এক পর্যায়ে শিক্ষিকা মন্জু আরাকে কিল-ঘুষি ও রড দিয়ে আঘাত করে। পরে উত্তেজিত হয়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। এসময় শিক্ষিকা আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে আঙ্গুলে আঘাত পান। এজাহারে আরও বলা হয়, এক পর্যায়ে ইয়াকুব আলীর ভাই সোলেমান ও তার মা সুজনা বেওয়া শিক্ষিকাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে। এ সময় চিৎকার ও গোঙানীর শব্দে আশেপাশের মানুষ এসে শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে। আহত শিক্ষিকাকে চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়।
শিক্ষিকার ভাই আবদুল মাবুদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আহত মঞ্জুয়ারা এখন কিছুটা সুস্থ। তার বুকে ব্যথা রয়েছে। আজ শুক্রবার তার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার কথা আছে।
চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষিকা নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার ভাইয়ের মাধ্যমে মামলাটি দায়ের করেছেন। শিক্ষক ইয়াকুব আলীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।