ফরিদপুরে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় একটি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক, তিন শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে পিটিয়ে জখম করেছে বখাটেরা। শনিবার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুর সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের ধলার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদরের পশরা এলাকার এম এ আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফয়জুল আলম বাদী হয়ে শনিবার রাতেই কোতোয়ালি থানায় চার বখাটের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার ডিক্রিরচরের কাজেম মাতুব্বরের ডাঙ্গীতে বিশিষ্ট শিল্পপতি এ. কে. আজাদ প্রতিষ্ঠিত মোতালেব হোসেন জুনিয়র হাইস্কুল ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল।
ওই প্রতিযোগিতা দেখতে এ. কে. আজাদ প্রতিষ্ঠিত অন্য দুটি বিদ্যালয় এম এ আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এম এ আজিজ হাইস্কুলের চার শিক্ষক, একজন অফিস সহকারী এবং নবম ও দশম শ্রেণির ১২০ শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে ডিক্রিরচরের কাজেম মাতুব্বরের ডাঙ্গীতে যান।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালে এম এ আজিজ হাইস্কুলের দুই ছাত্রীকে ওই এলাকার বখাটেরা যৌন হয়রানি করে। এ নিয়ে ওই বখাটেদের সঙ্গে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয় এবং বখাটেদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
বিকেল ৪টার দিকে এম এ আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এম এ আজিজ হাইস্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ফিরে যাওয়ার সময় ধলার মোড় বটতলা তিন রাস্তার মোড় এলাকায় পৌঁছলে মুন্সীর ডাঙ্গী এলাকার হাসিব (২০), মো. হাবিব শেখ (২২), রিফাত মুন্সী (২৩), রিয়াদসহ (২২) ১০-১২ জন তাদের ওপর হামলা চালায়। এর ফলে এম এ আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফয়জুল আলম, শিক্ষার্থী রাকিব শেখ, মিরাজ শেখ, মানিক শেখ, রুহুল আমিন ও আল আমিন আহত হন। এর মধ্যে চারজনকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বখাটেদের হামলায় মানিক শেখের ডান হাতের আঙুল ভেঙে যায়। মানিক চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী। ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফকির বলেন, যারা এ হামলার ঘটনায় জড়িত, তাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম নাসিম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।