চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে হত্যার হুমকি ও চট্টগ্রামের জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে বিএমএ- চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবালকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকাল ৩ টায় নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে এ দাবিতে মানববন্ধন করে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দীন মামুন ও আনোয়ার হোসেন পলাশ, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য গাজী জাফর উল্লাহ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য নুরুল আনোয়ার, সাবেক ছাত্রনেতা, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শিবু প্রসাদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য নাদিম উদ্দীন, জিএস আমিনুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা জয় সংকর চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান সাইমুন।
এ সময় বক্তারা বলেন, করোনা মহামারীতে চট্টগ্রামের জনসাধারণ আজ চিকিৎসকদের একটি বিশেষ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। সরকারি নির্দেশনার পরও চট্টগ্রামের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না কোভিড-নন, কোভিড রোগীরা। চট্টগ্রামের বেসরকারি ক্লিনিকে যথেষ্ট আইসিইউ শয্যা থাকা সত্ত্বেও বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে প্রতিদিন। সাধারণ জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য নুরুল আজিম রনির মতো সাহসী ছাত্রনেতারা যখন এগিয়ে এসে নিজস্ব উদ্যোগে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করেন। ঠিক তখনই বিশেষ সিন্ডিকেট প্রধান ড. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী রনির মতো সাহসী ছাত্রনেতাকে খুন করে লাশ ফেলে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। আজকের এই মানববন্ধন থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই।
এ সময় বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অতীতে অনেক ছাত্রনেতা হত্যা করে রাজপথ রঞ্জিত করেছে এই মাফিয়া চক্র। যদি আর কোনো ছাত্রনেতার শরীরে এক বিন্দু পরিমাণ আঁচড় লাগে তাহলে চট্টগ্রাামের সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে এদের প্রতিহত করবে চট্টলার ছাত্রসমাজ। এসময় বক্তারা অনতিবিলম্বে ডা. ফয়সাল ইকবালকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রামের চিকিৎসা সেবার জিম্মিদশা নিরসনের আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে ডা. ফয়সালের প্রতীকী ছবিতে থু থু ছিটিয়ে, জুতা নিক্ষেপ করে ধিক্কার জানায় বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এম এ এইচ মানিক, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন রুবেল, ডবলমুরিং থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ তৌহিদুল ইসলাম আরদিন, ছাত্রনেতা ইমরান আহমেদ শাওন, খোরশেদ আলম, তানভীর মেহেদী মাসুদ, শাহাদাত সালাম শাওন, মোহাম্মদ আরিফ, জোবাইদুল আলম আশিক, নোমান চৌধুরী রাকিন, ঐশিক পাল জিতু, মোহাম্মদ আরফাত, ইনজামুল ইমু, দোলন বড়ুয়া, শিহাব আলী, রবিউল ইসলাম রুবেল, পিন্টু দে, এস এম রিয়াসাদ, রিয়াজুল ইসলাম শান্ত, অর্ণব দেব, ওয়াহিদুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, জামশেদ উদ্দীন, জানে আলম হৃদয়, মীর মোহাম্মদ রবি, তৌহিদুল হক কায়ছার, রাকিন মহাতাব রাফি, মামুনুর রশীদ রায়হান, রুবেল উদ্দীন, মোহাম্মদ তামিম, মোহাম্মদ ফারদিন প্রমুখ।