মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোলা হামলায় অন্তত ১৯ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী কিংবা সশস্ত্র বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের কেউই এই হামলার দায় স্বীকার করছে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।
দেশটির পার্লামেন্টের স্থানীয় এমপি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে টেলিফোনে বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে রাখাইনের বুথিডং শহরতলীর খেমে চাউং নামক গ্রামের একটি স্কুলে কামানের গোলা আঘাত হানে। তবে এই হামলার জন্য কারা দায়ী সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ঐ আইনপ্রণেতা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঐ হামলায় ১৯ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। দেশটির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র অবশ্য এই হামলার দায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের ওপর চাপিয়ে ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বলেন, ‘পাশের একটি সামরিক চৌকিতে আমরা আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিয়েছি। এছাড়া পাঁচ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্কুলটির এক শিক্ষক বার্তা সংস্থা এএফপিকে কীভাবে তার স্কুলে হামলার ঘটনা ঘটল এবং ২১ জন আহত হলেন তার বিস্তারিত বলেছেন।’তিনি বলেন, এক মেয়ে শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
এছাড়া বেশির ভাগ আঘাত পেয়েছে তাদের মাথা ও পায়ে। আহত শিক্ষার্থী খামি নৃ-গোষ্ঠীর। রাখাইন রাজ্যে নানা ধর্মের ও বিভিন্ন নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর বাস। এ নিয়ে রাজ্যটিতে নানা ধরনের জটিলতা রয়েছে। তবে আরাকান আর্মির এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাদের যোদ্ধারা এই হামলা চালায়নি। এছাড়া তাদের হাতে এমন কোনো কামান নেই যেগুলো গতকাল ঐ স্কুলে আঘাত হেনেছে। তিনি এই হামলার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন।