রাজনীতি সচেতনতা ও ছাত্ররাজনীতি - দৈনিকশিক্ষা

রাজনীতি সচেতনতা ও ছাত্ররাজনীতি

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা নিয়ে দুটি ধারার বিতর্ক চলছে। প্রথম ধারাটি মনে করছে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ কলুষমুক্ত করা যাবে না। তাদের মতে, ছাত্ররাজনীতি পরিশুদ্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। কাজটি রাজনৈতিক দলগুলোকেই করতে হবে। কেননা বাংলাদেশে এখন ছাত্রসংগঠনগুলো ছোট-বড় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন। সুতরাং তাদের দায়িত্ব নিজ নিজ সংগঠনের শিক্ষার্থীদের সাংগঠনিকভাবে পরিচালিত করা। তাদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলে ক্যাম্পাসে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাঠ দখল করে নেবে। দ্বিতীয় ধারার পক্ষে যাঁরা, তাঁদের মত হলো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই। এই মতের পক্ষে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের একটি অংশ রয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

কারণ বিগত বছরগুলোতে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েছাত্রসংগঠনের নামে হল দখল, টেন্ডারবাজি, মারামারি, নেতাদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ শিক্ষার অনুকূলে ততটা থাকেনি। সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করে। ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে শিক্ষা-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মোটেও যুক্ত নয়। ফলে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররাজনীতির নামে এখন যা চলছে, তা শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে মোটেও সহায়ক নয়। উভয় ধারার মতামতের পক্ষে-বিপক্ষে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। সুতরাং কোনোটিকেই অযৌক্তিক, অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিতর্ক আমরা কত দিন চালিয়ে যাব। আমাদের কি কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা তৈরি করা উচিত নয়? আমরা যেকোনো সমস্যা নিয়ে নিরন্তর বিতর্ক করলেই সমাধান আসবে না। সমাধানের পথটি হচ্ছে বাস্তবতাকে মনে রেখে সমাধানের পথে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। এ ক্ষেত্রেও সরকার, রাজনৈতিক দল, ছাত্রসংগঠন, নাগরিক সমাজ, শিক্ষকসমাজ, গণমাধ্যমসহ সব সচেতন মহলকে এখনই কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

ছাত্ররাজনীতি আমাদের দেশে ঐতিহাসিকভাবে জাতীয় রাজনীতির অংশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতীয় রাজনীতিতে যেসব বিপর্যয় নেমে এসেছিল তার ফলে ছাত্ররাজনীতি তথা ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যেও নানা ধরনের অনভিপ্রেত শক্তির উত্থান ঘটেছে। ফলে ছাত্রসংগঠনগুলো দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কিভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে তার কোনো নীতি-নির্দেশনা মূল দল থেকেই যথাযথভাবে পেয়ে আসেনি। জাতীয় রাজনীতিতে স্বাধীনতা-উত্তরকালে সামরিক ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসংগঠনগুলো কখনো কখনো একাট্টা হতে পেরেছিল; কিন্তু শাসক শ্রেণি ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিপক্ষ দাঁড় করিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্র হত্যা, অস্ত্রবাজি, হল দখল ইত্যাদির জন্ম দিয়েছে। ফলে ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসভিত্তিক অভ্যন্তরীণ নানা অপশক্তির মুখোমুখি থেকে যে রূপে আবির্ভূত হয়েছিল, তাতে ছাত্রসংগঠনগুলো রাজনীতি ও আদর্শ চর্চা করার খুব একটা সুযোগ পায়নি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিল। ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু স্বৈরাচারের পতনের পর মূল রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্রে উত্তরণের কালে কিভাবে ছাত্রসংগঠন শিক্ষাঙ্গনে ক্রিয়াশীল থাকবে, সেটি নির্ধারণ করতে পারেনি। অধিকন্তু ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ক্যাম্পাসে দলীয় প্রভাব অক্ষুণ্ন রাখার জন্য অঙ্গসংগঠন হিসেবে নিজ ছাত্রসংগঠনকে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। তবে আশির দশক থেকে ছাত্রশিবির কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের কর্তৃত্ব ধরে রাখার জন্য হল তথা ক্যাম্পাস থেকে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিতাড়ন করার শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতের রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য ক্যাডার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছিল।

ফলে বাংলাদেশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেগুলোর ছাত্রাবাস ইত্যাদিতে ছাত্রশিবিরের ব্যাপক আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা সেগুলোতে অন্য প্রগতিশীল সব সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। বেশ কিছু ছাত্র ও কয়েকজন শিক্ষক তাদের হাতে হতাহত হয়েছিলেন। বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এবং এই শতকের প্রথম দশকে ছাত্রশিবিরের একচ্ছত্র প্রভাবের ফলে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা, কূপমণ্ডূকতায় প্রতিষ্ঠানগুলো ঘিরে থাকা, সাংস্কৃতিক বন্ধ্যত্ব ইত্যাদি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর বিরুদ্ধে নব্বইয়ের পর ক্ষমতাসীন ছাত্রদল বা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে শিক্ষা-সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলার কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি।

ছাত্রলীগ ছাত্রশিবিরকে ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা হটিয়ে দিতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের শিক্ষা-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে শিক্ষাঙ্গন উজ্জীবিত করার কোনো চেষ্টা করেনি। ছাত্রদলের কাছে বোধ হয় সেটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তাদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের দূরত্ব সব সময় ছিল বলে মনে হয় না। বাম ধারার ছাত্রসংগঠনগুলো বেশ কিছু নেতাকর্মীকে ছাত্রশিবিরের হাতে নিহত হওয়ার মাধ্যমে হারিয়েছে। কিন্তু তারাও এই সময়ে শিক্ষাঙ্গনে তাদের সংগঠনকে ক্রিয়াশীল করার মতো তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি। বিএনপির দুই শাসনামলে ছাত্রদল বিএনপির অঙ্গসংগঠন হিসেবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডারবাজি, দখলদারি এবং ছাত্রলীগ হটানোতে ব্যস্ত ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগ প্রথম দিকে কিছুটা সংযত থাকলেও দলীয় পদ-পদবিতে শীর্ষে অবস্থানকারী অনেকেই হল, ক্যাম্পাস ইত্যাদিতে নিজেদের বাহিনী গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে তারা নানা ধরনের গ্রুপিং, টেন্ডারবাজি, অবৈধ অর্থ অর্জন ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়তে থাকে। এই বিবর্ণ রূপটি ছাত্রলীগের মধ্যে তৈরি হওয়ার পেছনে যে কারণটি নিহিত ছিল তা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ থেকে ছাত্রলীগের মতো একটি তরুণদের সংগঠনকে কিভাবে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে পরিচালিত করতে হবে তেমন কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকিতে রাখা হয়নি। তেমনটি করা গেলে হয়তো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কী ধরনের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রভাব ফেলতে পারত, সেটি বোঝা যেত। কিন্তু ছাত্রলীগ সে ধরনের কোনো নির্দেশনা সাংগঠনিকভাবে যেমন পায়নি, আওয়ামী লীগ থেকেও পাওয়ার মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। ফলে এত বড় ছাত্রসংগঠন দেশের এত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুশৃঙ্খলভাবে চলার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এর প্রতিক্রিয়া পড়েছে সংগঠনের প্রতিটি ইউনিটে, যেখানে যে যেভাবে পেরেছে ছাত্রসংগঠনের নামে শিক্ষাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়েছে। মূলত কোনো ইউনিটের মধ্যেই জবাবদিহি করার কোনো ব্যবস্থা কার্যকর ছিল না। এভাবে কোনো ছাত্রসংগঠনের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুব বেশি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের আশা করা যায় না।

আমরা ছাত্রসংগঠন ও ছাত্ররাজনীতি নিয়ে যেভাবে কথা বলছি, তাতে খুব বেশি উপকারে আসার সুযোগ হবে বলে মনে হয় না। ছাত্রসংগঠনকে সুনির্দিষ্ট আদর্শিক নিয়ম-শৃঙ্খলায় পরিচালিত করার বিধি-বিধান থাকতে হবে। সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্যে কোনো ধরনের আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকা যাবে না। রাজনৈতিক চর্চার ক্ষেত্র হিসেবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনের উদ্যোগে নানা ধরনের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও সেমিনারের আয়োজন থাকতে হবে। সেগুলোতে দেশ, জাতি ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আয়োজন থাকতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বশেষ অর্জন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেমিনার, বিতর্ক, প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ইত্যাদির আয়োজন ছাড়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির সুযোগ কোথায়। সে কাজগুলোই তো ছাত্রসংগঠনগুলোর করার কথা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও কোনো ছাত্রসংগঠনের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। অথচ সাম্প্রদায়িক ছাত্রসংগঠন এবং জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের গোপন বৈঠক ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে থাকে। যদি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেশ, জাতি, সমাজ ইত্যাদির জ্ঞান-বিজ্ঞানভিত্তিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ থাকত, পাঠচক্র, বই-পুস্তক পড়া ইত্যাদির আয়োজন অবারিত থাকত, তাহলে অনেক শিক্ষার্থী অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠার সুযোগ পেত।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্ঞানচর্চার সুযোগ শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই যেমন সীমিত হয়ে পড়েছে, বাইরে সেটি অনুপস্থিত থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদারতা, যুক্তিবাদ, বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা, সচেতনতাবোধ, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ, জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা সমস্যা ও উত্তর, সমাজ, রাষ্ট্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ে বিভ্রান্তি ও বিকৃতি নিরসন করে সঠিক জ্ঞানতাত্ত্বিক ধারণা লাভের সুযোগ খুবই সীমিত হয়ে পড়েছে। ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতৃত্বের মধ্যে লেখাপড়ার চর্চা নেই বললেই চলে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা প্রস্তুতির বাইরে লেখাপড়ার তাগাদা খুব একটা নেই। ফলে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আসা আমাদের বৃহত্তর শিক্ষার্থীসমাজ আজকের বাংলাদেশকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মেধা, মনন, দক্ষতা ও জ্ঞানতাত্ত্বিক অভিজ্ঞতায় কাঙ্ক্ষিত মানে তৈরি হতে পারছে না। বিশাল ঘাটতি সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। এই সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে একুশ শতকের উপযোগী করা, গবেষণায় সমৃদ্ধ করা, শিক্ষার্থীদের এর সঙ্গে একনিষ্ঠ করা, শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার মতো করা, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে উন্নত চিন্তা-চেতনায় গড়ে তোলার অনুকূল পরিবেশে রাখা, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ সবার জন্য জ্ঞান আদান-প্রদান এবং আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে গড়ে উঠা, আলোকিত মানুষ করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করা। এই পরিবেশ সৃষ্টিতে ছাত্রসংগঠনগুলো একেকটি ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করবে—সেটি আশা করা সংগত হতে পারে। উন্নত দুনিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা তেমন ছাত্রসংগঠনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পেয়ে থাকে। আমাদেরও সেভাবেই এখন থেকে চিন্তা করতে হবে। অতীতের মহৎ ধারা যেখানে এসে পথ হারিয়েছে, তার পর থেকে বাঁক নেওয়ার মতো পরিবর্তন সাধিত না হওয়ায় আজকের ছাত্ররাজনীতির এই বিবর্ণ রূপ।

সুতরাং জাতীয় রাজনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষাঙ্গন, ছাত্রসংগঠন ইত্যাদিকে নতুনভাবে গড়ে তোলার চিন্তা ও পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। তাহলেই আমাদের আর ছাত্ররাজনীতি নিয়ে বিতর্কে এভাবে বছরের পর বছর সময় ক্ষেপণ করতে হবে না।

 

লেখক : মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার - dainik shiksha মাকে ভরণপোষণ না দেয়ায় শিক্ষক গ্রেফতার ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0079491138458252