রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে চাকরী প্রত্যাশীর কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) নগরের আলুপট্টির একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এসব বিষয়ে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নুরুল হুদা। তিনি ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাট উপজেলায়। তিনি স্নাতকে সিজিপিএ ৩.৬৫ ও স্নাতকোত্তরে ৩.৬০ পান। আইন অনুষদে সেরা হয়ে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পান।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হুদা অভিযোগ করেন, উপ-উপাচার্য জাকারিয়া ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ নভেম্বর সাক্ষাৎকারের আগে তার স্ত্রী তুজ সাদিয়ার মাধ্যমে তার কাছে টাকা চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে গত ১৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে জানালেও উপাচার্য এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নুরুল হুদা বলেন, গত ৩ অক্টোবর উপ-উপাচার্য জাকারিয়া আমার কাছে চাকরি ও ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়ে এই বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করতে বলেন। ১১ অক্টোবর এই ব্যাপারটি উপাচার্যকে অবহিত করি। প্রকৃত সত্য হলো, দুই শিক্ষকের মাধ্যমে উপাচার্য আব্দুস সোবহানের পক্ষ থেকে আমাকে সমঝোতায় বসার প্রস্তাব দিয়ে বিষয়টি নিয়ে চুপ থাকতে বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নান ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ নভেম্বর আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন। ১৩ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ডের সাক্ষাৎকারের আগের দিন ১২ নভেম্বর তিনি ওই টাকা দেন। টাকার ব্যাপারটি তিনি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ও ১২ নভেম্বর সহ-উপাচার্য জাকারিয়ার ভাগ্নে ও ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক গাজী তৌহিদুর রহমানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এছাড়া অন্য এক প্রার্থীকে নিয়োগের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নুরুল হুদা। তার দাবি আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্যে এলএলবিতে তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। নূর নুসরাত সুলতানাকে কেন নিয়োগ দেয়া হলো সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই নিয়োগ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হলে তিনি কমিটিকে বিস্তারিত তথ্য দেবে বলেও জানান।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান এবং উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া কেউই ফোন ধরেননি।