রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন। জালিয়াতি ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন টিমের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকবে।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আগামী ২২-২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ‘এবারের ভর্তি পরীক্ষায় পাঁচটি ইউনিটের বিপরীতে ১ লাখ ৪৭ হাজার সাতশ পঞ্চাশজন ভর্র্তিচ্ছু অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে জালিয়াত চক্রগুলোর দ্বারা ভর্তীচ্ছুরা প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে। তাই প্রতিবারের মতো এবারও জালিয়াতি ঠেকাতে এবং ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর থাকবে।’
প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসে প্রক্টর কর্তৃক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ভ্রাম্যমাণ আদালত, মেডিক্যাল টিমসহ বিভিন্ন টিম কাজ করবে।’
এ ছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন ও শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অভিভাবকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বিএনসিস, রোভার স্কাউট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। কেউ অবৈধ পন্থা অবলম্বন করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।