রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করা মুক্তিপণের ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা। শুক্রবার (৯ নভেম্বর) রাত ৮টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের অতিথি কক্ষে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পুরো টাকাটা আল ফারুকের হাতে তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) রাতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুককে হলের একটি ঘরে আটক করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক শাফিউর রহমান শাফি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম।
শাফি ঘটনার দায় স্বীকার করেন। সত্যতা নিশ্চিত হয়ে রুনু শুক্রবার (৯ নভেম্বর রাত ৮টার মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। রুনু বলেন, ‘শাফিউরকে ফাঁসিয়ে টাকা নিয়েছেন মূলত নাইম ইসলাম। তার খোঁজ পাইনি এখনও। সব টাকা তার কাছে। ঘটনার খবর পেয়ে নাইমের মা সাত হাজার টাকা নিয়ে এসেছিলেন। খুব কান্নাকাটি করেছেন। আর আমরা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ১৩ হাজার টাকার ব্যবস্থা করে মোট ২০ হাজার টাকা ফারুকের হাতে দিয়েছি।
নাইম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নাইম ছাত্রলীগের কেউ নন। তার কোনো খোঁজ এখনও আমরা পাইনি। সে নাকি বাড়িতেও ফেরেনি। ভুক্তভোগী ফারুক কোনো আইনগত দিকে এগোবে কিনা সেটা বলতে পারছি না।’
ফারুকের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে হলে সিটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ফারুক বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ভাই আমায় টাকা ফেরত এনে দিয়েছেন। তারা আমাকে শামসুজ্জোহা হলে একটি আবাসিক সিটের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। আমি তাদেরকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ।’
ঘটনার পর থেকে নাইম ইসলামকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার বক্তব্য মেলেনি।