রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার অভিযোগ এনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ঢাকায় অতিথি ভবন ক্রয়ের নামে ১০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগসহ সব অনিয়ম তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনে চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান। মানববন্ধনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের রিলিফ ভাস্কর্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ছিল না। কিন্তু মূলকাজে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। ভাস্কর্যে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিচে স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যম জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয়েছে, যা কোনো প্রগতিশীল শিক্ষকদের কাজ হতে পারে না।
তারা আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে কিছু শিক্ষক বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। তারা নিজেদের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ বলে পরিচয় দিচ্ছেন। আমাদের দলের সদস্য ৬ শতাধিক, অথচ আন্দোলন করছেন মাত্র ৩০/৪০ জন শিক্ষক। তাহলে এটি গুটিকয়েক একাংশ হয় কি করে? আমরা সকল অনিয়মের তদন্ত চাই, কিন্তু তারা ঢাকায় অতিথি ভবন কেনার নামে ১০ কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্ত চাননি। তার মানে স্পষ্টত তারা কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক এম মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুজিত সরকার, টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান প্রমুখ। মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক আব্দুল গণি।