রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৪ ব্যাংকে সব ধরনের পুনঃঅর্থায়ন বন্ধ করেছে সরকার, এমনকি বাজেট থেকেও দেয়া হবে না নির্দিষ্ট অংকের বরাদ্দ। রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নবনিযুক্ত সরকারি ব্যাংকের এমডি, সিইওদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য দেন অর্থমন্ত্রী।
এসময় প্রতি বছর ন্যূনতম ১৫ শতাংশ লাভ করার পাশাপাশি নতুন করে এক টাকাও খেলাপি ঋণ বাড়ানো যাবেনা বলে সরকারি ব্যাংকগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ, ভুয়া কাগজপত্রে ঋণ দেয়াসহ বেশ কিছু অনিয়মের কারণে চতুর্মুখী সংকটে দেশের ব্যাংকিং খাত। যার কারণে সমালোচনার মুখে সরকারও। পরিস্থিতির উত্তরণে সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চার ব্যাংকের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পরিবর্তন এনেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
রোববার সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের নবনিযুক্ত এমডি ও সিইওদের সঙ্গে প্রথমবারের মতো বৈঠক করলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মন্ত্রী আশা করেন, সরকারি চার ব্যাংক চাইলেই অনেক সংকট সমাধান সম্ভব। এসময় ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্টে খেলাপি ঋণ আদায়ের সরকারি সিদ্ধান্তে নেতিবাচক ফল আসছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিয়মিত গ্রাহকরাও পরিশোধ করছেন না ঋণ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এমনকি অনেকেই টাকাই দিচ্ছে না। যারা আগে দিত তারাও এখন দিচ্ছে না। খেলাপী ঋণ এক টাকাও বাড়েই।
বৈঠকে নিজস্ব অর্থে ব্যয় সংকুলানের আহ্বান জানিয়ে সরকারি সব ব্যাংকগুলোকে বার্ষিক ১৫ শতাংশ লাভ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে পুনঃ অর্থায়ন বন্ধ বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, সরকারের চাহিদা হল আমাদেরকে খেলাপি ঋণ বাড়াতে পারবে না। কমপক্ষে ১৫ শতাংশ লাভ করতে হবে প্রতি বছর। সম্পদ যা তারা ব্যবহার করবে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংকট উত্তরণে করণীয় নির্ধারণে রাষ্ট্রায়াত্ব ৪ টি ব্যাংক তাদের কর্মপরিকল্পনা অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে।