বর্তমানে রাষ্ট্রের চার গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপরিত সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, পুলিশের নতুন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা এবং সেনা প্রধান শফিউল হক। সম্মানীত এ চারজন সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক-
১. সৈয়দ মাহমুদ হোসেন: শনিবার (৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১৮) সন্ধ্যায় সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রধান বিচারপতির শপথ পাঠ করেন। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি এলএলবি ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে আইন পেশায় যুক্ত হন। তার দুই বছর পর ওকালতি শুরু করেন হাইকোর্টে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশুনা করেছেন তিনি।
২. জাবেদ পাটোয়ারি: চাঁদপুর সদরের সন্তান আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ইন্সটিটিউটের থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৮৬ সালে এএসপি হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন। সম্মিলিত মেধা তালিকায় তার অবস্থান চতুর্থ এবং পুলিশের ওই ব্যাচে প্রথম। জাবেদ পাটোয়ারী জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড-১ ভুক্ত কর্মকর্তা। তিনি বর্তমানে সমাজ কল্যাণ ইন্সটিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন সমাজ কল্যাণ পরিবারের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই ইন্সটিটিউটে লেকচারও দিয়ে থাকেন। আইজিপি হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে সমাজ কল্যাণ এ্যালামনাই সমিতি।
৩. কে এম নুরুল হুদা: ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে পটুয়াখালীর বাউফলে জন্মগ্রহণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন ওই সিইসি। এ ছাড়াও ১৯৭২-৭৩ খ্রিস্টাব্দে হল ছাত্র সংসদে সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন নুরুল হুদা।
৪. শফিউল হক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন বর্তমান সেনা প্রধান শফিউল হক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিফেন্স স্টাডিজে স্নাতকোত্তর এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন নোয়াখালীর ওই কৃতি সন্তান। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বর্তমানে পিএইচডি করছেন। দেশ ও বিদেশে সেনা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন শফিউল হক। তিনি ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড এবং মিরপুর স্টাফ কলেজের একজন গ্রাজুয়েট।