নওগাঁয় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সামনের রাস্তার নির্মাণ কাজ দীর্ঘ চার বছরেও সম্পূর্ণ হয়নি। ফলে প্রতিনিয়তই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
‘দক্ষতা নিজের সম্পদ,দক্ষ জনশক্তি দেশের সম্পদ’ এই স্লোগান নিয়ে চার বছর আগে নওগাঁয় চালু হয় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। জানা গেছে, এটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষক ব্যুরোর বাস্তবায়নাধীন একটি প্রকল্প। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তাটির বেহাল দশা।
নওগাঁ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওহিদুর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে রাস্তাটির সংস্কারের জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়। ওপরের মহলে তদবিরও করা হয়। কিন্তু পৌরসভা থেকে বলা হচ্ছে বরাদ্দ নেই। গণপূর্ত বিভাগ থেকেও কোনও আশ্বাস পাচ্ছি না। এ নিয়ে বহু চিঠি চালাচালিও হয়েছে। সবাই আশ্বাস দেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে নওগাঁ শহরের বাঁঙ্গাবাড়ীয়া মহল্লায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আব্দুল জলিল। দুই একর জায়গার ওপর প্রায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে। কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল মেশিন, ইলেকট্রিক্যাল হাউজ ওয়্যারিং এবং অটোমেকানিক্সসহ পাঁচটি বিষয়ে ২০০ শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিতে পারে। কিন্তু রাস্তা না থাকায় বর্তমানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে টিটিসির প্রধান ফটকের সামনে পানি জমে ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয়। প্রতিদিন টিটিসিতে প্রায় আড়াই থেকে তিনশ’ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাঁদা মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয়।’
শিক্ষার্থীরা জানান, এই রাস্তাটি দিয়ে টিটিসি’র শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া করতে হয়। রাস্তাটি সম্পূর্ণ না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হচ্ছে। রাস্তার ওপরে যখন-তখন পানি জমে থাকায় অনেকেই টিটিসিতে ভর্তির বিষয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নাজমুল হক সনি বলেন, ‘টিটিসি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এই রাস্তাটি মূলত গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের করে দেয়ার কথা। তারা যদি করে না দেয়, তাহলে আগামীতে পৌরসভা থেকে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেবো।’
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমসান গণি বলেন,‘আমরা শুধু প্রতিষ্ঠানের ভেতরের রাস্তাটি করতে পারি এবং সেটি করেও দিয়েছি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের বাইরের রাস্তা নির্মাণের এখতিয়ার আমাদের নেই।’