রাহুল গাঁন্ধীকে ব্যঙ্গ, বরখাস্ত শিক্ষককে কাজে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী - Dainikshiksha

রাহুল গাঁন্ধীকে ব্যঙ্গ, বরখাস্ত শিক্ষককে কাজে ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

অম্বিকেশ মহাপাত্রের মতো হেনস্থার শিকার হতে হল না বালেশ্বর পতিদারকে। তাঁর রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাহুল গাঁন্ধীকে ব্যঙ্গ করে শাস্তি পেয়েছিলেন তিনি। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের রতনাম জেলার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বালেশ্বর পতিদারকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সৌজন্যে সে শাস্তি উঠে গেল। ফের কাজে বহাল হলেন বালেশ্বর।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁন্ধীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছিলেন তালোদ গ্রামের শিক্ষক বালেশ্বর। এর পরই স্কুল কর্তৃপক্ষের রোষে পড়েন তিনি। বালেশ্বরকে বরখাস্ত করা হয়। ঘটনার কথা কানে পৌঁছতেই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। বালেশ্বরকে কাজে বহাল করার পর তিনি জানিয়েছেন, বিরুদ্ধ সমালোচকদের ক্ষমা করে দেওয়ার নীতিতেই বিশ্বাস করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁন্ধী।

তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও সমালোচকদের মাফ করে দিয়েছেন কমলনাথ। জব্বলপুরের একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ তিওয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ার খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের বিরুদ্ধেই বিরূপ মন্তব্য করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে দেখা যায়, কমলনাথকে ‘ডাকু’ বলে সম্বোধন করছেন মনোজ। এর পরেই জেলা প্রশাসন মনোজকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। তবে গত ১৩ জানুয়ারি কমলনাথ তাঁর সেই সাজা মাফ করে দেন। চাকরিতে পুনরায় বহাল হন মনোজ।

বালেশ্বরের সাজা মাফ করার পাশাপাশি কমলনাথ এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, “বাকস্বাধীনতা থাকার অর্থ এই নয় যে, অন্যকে অপমান করা বা অশ্রদ্ধা করা যেতে পারে।” রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে শাস্তির মুখে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। 

গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করার পর গ্রেফতার করা হয়েছে তামিলনাড়ুর এমডিএমকে-র এক কর্মীকে। ২০১২ সালে প্রায় একই অবস্থা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী এবং মুকুল রায়কে নিয়ে তৈরি একটি ব্যঙ্গচিত্র ফেসবুকে ফরোয়ার্ড করে হেনস্থার মুখে পড়েছিলেন তিনি। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা সময়েই অভিযোগ তুলেছিলেন, অম্বিকেশবাবু তাঁকে খুনের চক্রান্ত করেছেন। তবে বালেশ্বরের ক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই পরিত্রাতা হয়ে এগিয়ে এলেন।

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034561157226562