রেডিওর ক্লাস মন্দের ভাল - দৈনিকশিক্ষা

রেডিওর ক্লাস মন্দের ভাল

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

মাত্র কয়েকটি সূত্রে পাওয়া তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে আমরা অনলাইন ক্লাসের বেশ কিছু সাধারণ চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলতে পারি। যদি আমরা কেবল প্রচলিত ধারণার অনলাইন ক্লাস বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচলিত ক্লাস নেয়াকে বিষয়বস্তু হিসেবে দেখি তবে টেলিভিশন, রেডিও বা ইন্টারনেট তিনটিকেই বাহন হিসেবে বিবেচনা করতে পারি। যদিও রেডিওতে দৃশ্যমান কিছু প্রদর্শন করার সুযোগ নেই, তথাপি কোন ধরনের শিক্ষা গ্রহণ না করার চেয়ে রেডিওর ক্লাস মন্দের ভাল। বিশেষ করে শিক্ষকরা যদি রেডিওকে শব্দভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করে দৃশ্যমানতার বিষয়গুলো শাব্দিক বিবরণ সহকারে উপস্থাপন করেন তবে রেডিও টিভির পুরো ঘাটতি পূরণ না করলেও টিভি নেটওয়ার্ক না থাকার দৈন্যদশাকে কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত উপসম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়। 

উপসম্পাদকীয়তে আরও জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা সচিবের দেয়া তথ্য অনুসারে টিভি ও রেডিওর সহায়তায় দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ ছাত্র-ছাত্রীকে অনলাইন শিক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছেন যে, শতকরা ৯৭ ভাগ মায়ের রেডিও সম্প্রচার গ্রহণে সক্ষম মোবাইল ফোন রয়েছে। (এটিএন নিউজ-৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, নিউজআওয়ার এক্সট্রা)। তবে এগুলো যে স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট সক্ষম ফোন নয় সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে। এসব যন্ত্রে কেবল রেডিও শোনা যেতে পারে। সচিব মহোদয় অনলাইন শিক্ষার যে বাহনকে চিহ্নিত করেছেন ডিজিটাল যুগে সেসব বাহন অনলাইন শিক্ষার বাহন হিসেবে কতটা গুরুত্ব বহন করে সেটি ভাবতে হবে।

এসব মাধ্যম কেবল প্রাচীন-দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবের পণ্য-যোগাযোগ মাধ্যম বা কেবল একমুখী প্রচার মাধ্যম নয়-ডিজিটাল যুগে দিনে দিনে ওরা হারিয়ে যেতে বসেছে। হতে পারে ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আমাদের দুর্বলতার জন্য রেডিও-টিভিকে আমরা অনলাইন ক্লাসের বাহন হিসেবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। তবে এই দুটি মাধ্যমকে ডিজিটাল যুগের অনলাইন শিক্ষার বাহন হিসেবে আমি গ্রহণ করতে পারছি না। বরং আমি শিক্ষা গ্রহণ করছি যে, এই অবস্থাটি অবশ্যই পাল্টাতে হবে এবং শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ডিজিটাল মহাসড়ক ধরেই হবে। এটিও বোঝা দরকার, রেডিও টিভি ডিজিটাল মহাসড়ক নয়- প্রচলিত গণমাধ্যম মাত্র। যার আয়ু মোটেই বেশি দিনের নয়। এখনই লক্ষ্য করবেন টিভির দর্শকরা টিভি দেখার চেয়ে ফেসবুক বা ইউটিউব অনেক বেশি ব্যবহার করেন। করোনাকালে কাগজের পত্রিকাও বস্তুত ডিজিটাল মাধ্যমই ব্যবহার করেছে।

কিন্তু সারাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মূল স্রোতটি যদি আমরা উপলব্ধি করি তবে এটি স্পষ্টই বুঝতে পারি যে, অনলাইন ক্লাস বা অনলাইন শিক্ষা নামের স্বপ্ন আসলে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের স্বপ্ন। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে ৩৩ বছরের ধারণা ও ২০ বছরের বেশি সময় সরাসরি কাজ করার প্রেক্ষিতে এই বিষয়ে আমার প্রচুর লেখালেখি প্রকাশিত হয়েছে। আমি বিস্তারিত লিখেছি শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর কেমন করে করতে হবে। কাজও করছি শিক্ষা নিয়ে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গালিগালাজ খেলেও কাজ বন্ধ করিনি এবং এখন আমার হাতে প্রাথমিক শিক্ষার ডিজিটাল কন্টেন্ট রয়েছে যেগুলো কোন শিক্ষার্থীর কাছে ডিজিটাল ডিভাইস থাকলে তাতে ইন্সটল করে বাড়ি বসে ইন্টারনেট ছাড়াই নিজে নিজে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

ডেইলি স্টারের ফোরামে শিক্ষক মহোদয় যে স্বশিক্ষার কথা বলেছেন এটি সেই স্বশিক্ষার ডিজিটাল উপকরণ। একই পদ্ধতি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষায় প্রয়োগ করা যায়। আমি এই পদ্ধতি এরই মাঝে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করে সফল হয়েছি। এবার এসব কন্টেন্ট ফ্রি করেও দিয়েছি। আশা করি লাখ লাখ শিশু তাতে উপকৃত হয়েছে। সরকার ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৮টি পাড়া কেন্দ্রে এই ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মুজিববর্ষে সাবমেরিন কেবল আরও ৫০টি স্কুলে এই উপাত্ত ব্যবহার করে শিক্ষাকে ডিজিটাল করতে যাচ্ছে। তবে আমি ডিজিটাল শিক্ষার যে রূপটা ৩৩ বছর ধরে লালন করছি সেটি আমাদের জাতীয় ব্যবস্থায় প্রয়োগ হবে কবে বা আদৌ হবে কিনা সেটি আমি জানি না। আমি হয়তো আমার প্রচেষ্টা দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারব। তবে জাতীয় কর্মসূচী গ্রহণ করা ছাড়া আমরা ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলন করতে পারব না।

আপাতত আমাদের চলমান অনলাইন ক্লাস শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর নয় সেই বিষয়টি জোরের সঙ্গে বলেই কেবলমাত্র অনলাইন ক্লাস বিষয়টি নিয়েই কিছু কথা বলি। যদিও আমি মনে করি অনলাইন শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার একটি আংশিক রূপ মাত্র। বিশেষ করে রেডিও টিভির ওপর নির্ভর করে এই ব্যবস্থা প্রচলন করা মোটেই সমীচীন নয়। আপদকালে এটা সচল করলেও অবিলম্বে রেডিও টিভি থেকে অনলাইন শিক্ষাকে সরিয়ে আনতে হবে।

সার্বিকভাবে আমি কেবল অনলাইন ক্লাসগুলো চালু করার বা চালু রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর বড় বিষয় বলে সেটি এখানে আলোচনা করব না।

ক) ইন্টারনেট : রেডিও-টিভির অনলাইনের আওতা থেকে বেরিয়ে আমরা যদি ডিজিটাল সংযুক্তিভিত্তিক অনলাইন ক্লাসের কথা ভাবি তবে প্রথমেই দরকার ইন্টারনেট। দুই উপায়ে ছাত্রছাত্রীরা ইন্টারনেট পেতে পারে। ১) স্মার্ট মোবাইল ফোন ২) স্থির ব্রডব্যান্ড। মোবাইল ইন্টারনেটের সঙ্কটটি হচ্ছে যে এটির ৪জি প্রযুক্তি যা অনলাইন ক্লাস করার জন্য অপরিহার্য তা প্রত্যন্ত অঞ্চলে সম্প্রসারিত হয়নি। এর বাইরেও রয়েছে ইন্টারনেটের দাম। আমি নিজে মনে করি শিক্ষার জন্য ইন্টারনেট ফ্রি হওয়া উচিত। সেই লক্ষ্য নিয়েই ১০ সেপ্টেম্বর থেকে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি টেলিটক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহায়তায় অনলাইন ক্লাসের জন্য ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করেছে।

বাকি তিনটি অপারেটর এই পথে আসতে পারে। তবে গত এক মাসে তাদেরকে তেমন মনোযোগী হতে দেখিনি। ফলে বোধহয় এই প্রত্যাশা থেকে সরে আসা যেতে পারে। একই সঙ্গে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নেটওয়ার্ক নয় একটি জাতীয় প্লাটফরম চালু করে সেটিকে বিনামূল্যে করে দেয়া যায়। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে করতে পারে। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রসারের জন্য সরকার এরই মাঝে যুগান্তকারী কিছু কাজ করেছে। বিটিসিএল ১২১৬টি ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক্স যোগাযোগ স্থাপন করেছে। বিটিসিএল ৫৮৭টি সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন তৈরি করে দিয়েছে। করোনাকালে সেটি এক মহাঘটনা বলেই বিবেচিত হচ্ছে। বিটিসিএল দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরও ওয়াইফাই জোন তৈরি করছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ২৬০০ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক্স কানেকশন গড়ে তুলছে। একই বিভাগ আরও ৬১৭টি ইউনিয়নে কানেকশন দেবার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর বাইরে দুটি সরকারী ও দুটি বেসরকারী এনটিটিএন বেশ কিছু কানেকটিভিটি গড়ে তুলেছে। অন্যদিকে পাহাড়, দুর্গম অঞ্চল, হাওড়, বিল, উপকূল ও দ্বীপ অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর সহায়তায় দ্রুতগতির কানেকটিভিটি প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এটি হয়তো আমাদের জন্য সুখের নয় যে আমরা পুরো অবকাঠামোটা এই সময়ে সম্পূর্ণ সক্রিয় করে ব্যবহার করতে পারিনি।

খ) ডিজিটাল ডিভাইস : অনলাইন ক্লাসের সবচেয়ে বড় সঙ্কটের নাম ডিজিটাল ডিভাইসের অভাব। অতি ক্ষুদ্রসংখ্যক ছাত্রছাত্রী অনলাইন ক্লাস করার উপযুক্ত ডিজিটাল যন্ত্রের অধিকারী। দেশের সকল ছাত্রছাত্রী যাতে ডিজিটাল যন্ত্রের অধিকারী হতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের যে স্মার্ট ফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপ আমরা এখন দেশেই বানাই। সরকার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্যোগ নিলেই ছাত্র ছাত্রীদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস অতি সহজে পৌঁছানো সম্ভব। আমি একাধিক দেশীয় উৎপাদককে কিস্তিতে মোবাইল দিতে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছি। ল্যাপটপও কিস্তিতে দেয়া যেতে পারে। সরকার স্বউদ্যোগে এক্ষেত্রে প্রণোদনা দিতে পারে বা ল্যাপটপ বিতরণ করতে পারে।

গ) ডিজিটাল কন্টেন্ট: এখন পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস মানে এটিই দেখেছি আমরা যে, সাধারণভাবে যে পদ্ধতিতে স্কুলের ক্লাসরুমে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাস নিতেন সেই চক-ডাস্টার খাতা কলম দিয়েই ক্লাসটা নেন। মাঝে মাঝে কেউ কেউ ভিডিও বা পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড ব্যবহার করেন। কিন্তু বিজয় এর ডিজিটাল কনটেন্ট ফ্রি দেবার পরও প্রাথমিক স্তরে এর ব্যবহার সীমিত। ছাত্র ছাত্রীরা নিজেরা এসব কনটেন্ট ব্যবহার করে। কিন্তু শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রীদের দক্ষতা অর্জন করাতে সক্ষম হচ্ছেন না। তবুও আমি মনে করি আমাদেরকে প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সকল শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অবশ্যই করতে হবে। এজন্য সবার আগে দরকার ডিজিটাল কন্টেন্ট।

ঘ) সচেতনতা ও দক্ষতা : অনলাইন শিক্ষা সম্পর্কে সবচেয়ে বড় সঙ্কটের নাম হচ্ছে সচেতনতার অভাব। অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী বা নীতিনির্ধারকদের মাঝে অনলাইন ক্লাস, তার প্রকৃতি, রূপরেখা, ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় বিষয়ে প্রচ- ঘাটতি দেখা গেছে। প্রচন্ড সঙ্কট অনুভব করা গেছে ইন্টারনেট, ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার ও ক্লাস পরিচালনার ক্ষেত্রে।

সবশেষে যে কথাটি আমি বলব সেটি হচ্ছে করোনা থাকুক, যাক বা আবার অন্য কোন করোনা আসুক কিংবা কোনটাই না ঘটুক এবার আমরা শিখেছি যে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ছাড়া আমাদের সামনে কোন পথই খোলা নেই। আমরা সমন্বয়হীনভাবে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে যেসব বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি সেটি প্রয়োজনের তূলনায় অনুল্লেখ্য এবং সময়ের প্রয়োজন মেটাতে সম্পূর্ণ অক্ষম। যে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদের নাম মানুষ এবং যার ৬৫ ভাগ নতুন প্রজন্ম সেই বাংলাদেশ শিক্ষায় পিছিয়ে থাকতে পারে না। আমাদের ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতেই হবে।

ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পের জন্য অপার সম্ভবনা : বহুবছর যাবতই আমি বলে আসছি যে বাংলাদেশের শিক্ষাখাত আমাদের ডিজিটাল জগতের জন্য এক অপার সম্ভাবনার জায়গা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিক্ষা খাতে ওয়েবসাইট বানানো ও স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে সীমিত হয়ে পড়ে। আমরা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের পূর্বাভাসে জানতে পেরেছি যে ২০২৫ সালে বিশ্বে শিক্ষা প্রযুক্তির বাজার ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ এর অতি ক্ষুদ্রাংশ পেলেও সেটি কত বিশাল হতে পারে আমাদের এই শিল্পের মানুষ সেটি বিবেচনা করে দেখতে পারে।

 

সর্বশেষ সম্পাদনা ১৭ অক্টোবর ২০২০

(মতামত লেখকের নিজস্ব)

লেখক : মোস্তাফা জব্বার, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক

মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036439895629883