আমাদের দেশের খ্যাতিমান এক অভিনেতার জীবনে ঘটে যাওয়া খুব হূদয়বিদারক এক ঘটনার কথা মনে পড়ছে। তার এক ছেলে ছিল মাদকাসক্ত; আরেকজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ২০১২ সালের কোনো এক দুপুরে মাদকাসক্ত ছেলেটা টাকার জন্য বড় ভাইয়ের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে ডাইনিং টেবিলে থাকা ফল কাটার ছুরিটা বড় ভাইয়ের বুকে বসিয়ে দেয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পত্রিকায় সংবাদটি পড়ার সময় নিজেকে সেই হতভাগ্য বাবার জায়গায় কল্পনা করছিলাম। সন্তানের খুনের বিচার হচ্ছে; কিন্তু তিনি মনে শান্তি পাচ্ছেন না। কারণ যত অপরাধীই হোক—সেও তো আরেক সন্তান! অনেকটা তেমনিভাবে আজ যে বিষয়ে লিখছি তার ভিকটিম ও অভিযুক্ত উভয় পক্ষই আমাদের প্রিয়জন। ফলে নির্যাতিত ছাত্র-ছাত্রীদের (বা তাদের অভিভাবকদের) কাছে ঘটনার বর্ণনা শুনে যেমন কষ্ট পাই। ঠিক তেমনিভাবে যখন অভিযুক্তদের শাস্তি দেয়া হয়; সেটাও মর্মপীড়ার কারণ হয়। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও জানা যায়, শিক্ষকতা পেশায় থাকা মানুষের বড় এক সমস্যা হলো, স্নেহভাজন সবাইকে নিজের ছাত্র-ছাত্রী ভেবে জ্ঞান দিতে শুরু করেন। নিজের সন্তান বা সরাসরি ক্লাসে পড়ানো শিক্ষার্থীদের যেমন উপদেশ ও পরামর্শ দেন, দূরবর্তী একজনকেও প্রসঙ্গক্রমে তেমনটা বলতে শুরু করেন। এতে অনেকেই বিরক্ত হয়, অনধিকার চর্চা বলে গণ্য করে। অস্থির এ সময়ে যখন নিজের বাবা-মা কিংবা বড় ভাই-বোনের কথাই মনোযোগ দিয়ে শোনার ধৈর্য হয় না; তখন অচেনা-অজানা একজনের কথা শুনতে তাদের বয়েই গেছে! এ ব্যাপারটা পুরোপুরি বোঝার পরও নিবন্ধটি লিখতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ বছর বিশেক আগে এক বন্ধুকে বাবা-মায়ের অমতে পালিয়ে বিয়ের সাহায্য করতে পারায় নিজেকে যতটা ‘হিরো’ মনে হয়েছিল, আজ ততটাই অপরাধী মনে হয়! কারণ তখন সবকিছু দেখতাম সন্তানের চোখ দিয়ে। আর এখন নিজের অজান্তেই দেখি মা-বাবার দৃষ্টিকোণ থেকে। একেই বুঝি বলে ‘প্যারাডাইম শিফট’!
ফেসবুকে আমার সঙ্গে যুক্ত তিন হাজারের মধ্যে অন্তত দুই হাজার জন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে বা কিছুদিন আগে পড়ালেখা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে। ফলে প্রতিনিয়ত তাদের ভাবনা ও কাজকর্মের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটে। বড়রা স্বার্থের নানা হিসাব-নিকাশ করে পা বাড়ালেও এখনো তরুণরা অসংখ্য ভালো কাজে যুক্ত রয়েছে। নেপালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার জন্য শাবির সাংস্কৃতিক কর্মীদের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে সারা দিন অর্থ সংগ্রহের যে আন্তরিক চেষ্টা দেখেছি, তা অতুলনীয়। সিডর, আইলাসহ বড় সব দুর্যোগে তারা এগিয়ে যাওয়ার জন্য কারো ডাকের অপেক্ষা করেনি। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেও ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান কিংবা স্বাধীনতা সংগ্রামে সিংহভাগই ছিল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুণ বা তাদের সমবয়সীরা। এখনো দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদানের সিংহভাগ তারাই করে থাকে। রাস্তায় কেউ বিপদে পড়লে আমরা পাশ কাটিয়ে গেলেও একজন শিক্ষার্থী তা পারে না। শীতার্তদের জন্য বস্ত্র সংগ্রহে তাদের নিরলস চেষ্টা আমাদের মুগ্ধ করে।
প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হওয়ার পেছনেও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভূমিকা থাকে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের। অচেনা-অজানা এক শিক্ষার্থীকে অকাতরে নিজের বিছানাটি ছেড়ে দিয়ে তারা গাদাগাদি করে মেঝেতে শুয়ে রাত কাটিয়ে দেয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজের অজান্তেই একেকজন স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। অভ্যাগতদের সহযোগিতা করার মধ্যেই তারা অকৃত্রিম সুখ খুঁজে পায়। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই নতুন সেশনের ক্লাস শুরু হবে। তিলে তিলে গড়া সন্তান তার প্রত্যাশিত গন্তব্যে পৌঁছতে পারায় নবীন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আশায় বুক বাঁধবে লক্ষাধিক অভিভাবক ও তাদের প্রিয়জন। কয়েক বছর হলো, আনন্দের এ সংবাদের পাশাপাশি গণমাধ্যমে নেতিবাচক এক বিষয় প্রচার পাচ্ছে, যা সংশ্লিষ্টদের মর্মপীড়ার কারণ হচ্ছে। সেটা হলো র্যাগিং কালচার। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এর প্রকোপ বাড়ছে। এমনকি বুয়েট বা আইইউটির মতো প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের খবর আমাদের ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন করে। কারণ দেশের অন্যতম সেরা মেধাবীরাই তো এসব প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার সুযোগ পায়।
র্যাগিংয়ের এ (অপ)সংস্কৃতি ঠিক কোত্থেকে কীভাবে আমদানি হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে এ চর্চার পৃষ্ঠপোষকদের কাছে প্রশ্ন করতে ইচ্ছা হয়—আচ্ছা, তোমার পরিবারে নতুন শিশুর জন্ম হলে এ পৃথিবীতে তাকে কীভাবে স্বাগত জানাও? সেটা কী সদ্যপ্রসূত শিশুর গালে দুটি চাঁটি (চড়) দিয়ে; না কিল-ঘুষি আর অশ্লীল কিছু শব্দ প্রয়োগের (গালাগালির) মাধ্যমে? নাকি পা দুটি উপরের দিকে ধরে তাকে ঘোরাতে থাকো, আর ও যখন কাঁদে, তখন উপস্থিত আত্মীয়-স্বজনরা খিলখিল করে হাসো? কথাগুলো শুনে আমাকে খুব নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ বলে মনে হচ্ছে, তাই না? কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদেরই কিছু ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য পা রাখা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমনটাই করে! কে তাদের শেখাল যে এটাই তাদের স্বাগত জানানোর উত্তম পন্থা? বরং আমরা তো সদ্য জন্ম নেয়া শিশুকে এমনভাবে কোলে নিই, যেন তার সামান্য কষ্টটুকুও না লাগে। নিজের একটু অসুবিধা হলেও সে যেন ব্যথা না পায়, তাই না? তাহলে নবীন শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে উল্টো আচরণের কথা মাথায় আসে কীভাবে?
শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বিশ্বের নাম করা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা বিপুলসংখ্যক সহকর্মী রয়েছেন। তাদের অনেকেরই একাধিক দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। তাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় একজনের কাছেও শুনিনি যে তারা সেখানে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন। আমার নিজেরও ইউরোপের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ হয়েছে। সেগুলোয় আমি নিজে কিংবা সহপাঠীদের কেউ কখনো এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হইনি। তাহলে এর চর্চাকারীরা কি আদৌ সভ্য কোনো দেশের সংস্কৃতি এখানে চালুর চেষ্টা করছে—সেটা ভাবা দরকার। অনেকেই যুক্তি দেয়, মজা করার জন্য তারা সেটা করে থাকে। এক্ষেত্রে খুব সাদামাটা জিজ্ঞাসা, তোমার উপস্থিতিতে তোমার ছোট ভাই বা বোনের সঙ্গে অন্যরা এমনটা করলে কী তোমার ভালো লাগত? উত্তর যদি ‘না’ হয়, তবে ওই শিক্ষার্থীও তো কারো না কারো ভাই বা বোন! তার মানসিক কষ্ট তোমাকে সামান্যতমও স্পর্শ করতে পারছে না—এটা খুবই দুঃখজনক।
আজকাল মা-বাবারা একটি-দুটি সন্তান নেন। ফলে অতি আদরে তাদের বড় করা হয়। গায়ে ফুলের টোকাও যেন না লাগে—এতটা যত্নে তাদের গড়ে তুলতে মা-বাবা সদা সচেষ্ট থাকেন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকেই অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক চাপ নেয়ার মতো পরিবেশে বড় হয়নি। ফলে তাদের প্রতি এমন নির্দয় আচরণে বড় বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা থাকে। আর সেটা ঘটে গেলে কিন্তু তখন নিস্তার পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করা মোটেই কোনো কঠিন ব্যাপার না। সামান্য মজা করতে গিয়ে নিজের এবং অনুজদের বিপদে ফেলা কোনোভাবেই সংগত নয়। তাই আজ যারা মজার ছলে এমন পথে অগ্রসর হচ্ছে তারা কি জানে, সেই ছেলে বা মেয়েটার যদি তেমন কিছু ঘটে। অপমান-কষ্ট সইতে না পেরে সে যদি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আর তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনকারীদের কথা লিখে যায়—তোমরা তখন বাঁচবে তো?
তাছাড়া কার কোথায় লিংক আছে তা নিশ্চয়ই তোমরা জানো না। ফলে এমন জায়গায় হাত দিতে পারো যে, পরে নাকে খত দিয়েও রেহাই পাবে না। কারণ তোমার পেছনে যেমন শক্ত কোনো খুঁটি থাকায় যা খুশি করতে পারো ভাবছ—তার চেয়েও বড় খুঁটি সেই নতুন শিক্ষার্থীর থাকতে পারে। তখন কিন্তু শতবার মাফ চেয়েও রক্ষা হবে না। এমন দু-একটি ঘটনা জানি বলেই লিখছি। তাছাড়া বড় বিপদে পড়লে সবার আগে রাজনৈতিক দল বা অন্যান্য শক্তি তোমাকে অস্বীকার করবে। বহিষ্কার বা সম্পর্ক ত্যাগে এক মুহূর্তও দেরি করবে না। বুয়েটে আবরার হত্যার ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া খুবই দরকার। তোমার ক্ষেত্রেও যদি এমন কিছু ঘটে, তখন শত আফসোস করেও আর স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সম্ভব হবে না। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া জরুরি নয় কি?
শুনেছি নবীন শিক্ষার্থীদের ‘মুরগি’ বলে সম্বোধন করা হয়। যদি তোমার বিভাগের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র মুরগি হয়, তবে তুমি একজন ‘বুড়া মুরগি’—তাই না? শব্দটা শুনতে খারাপ লাগছে? তোমার মতো ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরই যদি খারাপ লাগে, তবে কোমলমতি একজন শিক্ষার্থী যখন এটা শোনে, তার কতটা খারাপ লাগে, কখনো ভেবে দেখেছ? অনেকে বলে, আদব-কায়দা শেখানোর মাধ্যম নাকি হলো র্যাগ। যে র্যাগ দিচ্ছে, তাকে কি তার শিক্ষক ও সহপাঠীরা খুব ‘আদবওয়ালা’ বলে জানে? খুব সম্ভবত না। তাহলে যার নিজেরই আদব-কায়দার ঠিক নেই, সে আবার অন্যদের কী শেখাবে? তাছাড়া আজ থেকে দু-তিন বছর আগে তুমি তোমার ক্যাম্পাসের কেউ ছিলে না। দু-তিন বছর পর আবারো তুমি কেউ থাকবে না। তাহলে ক্ষণিকের ক্যাম্পাস জীবনে এত ঘৃণা অর্জন করা খুব কি জরুরি? স্মরণ রাখা দরকার, তুমি কারো উপকার করলে সে সহজেই ভুলে যেতে পারে। কিন্তু যার ক্ষতি করলে বা যাকে বিব্রত করলে, সে সারা জীবনেও ভুলবে না। মুখে কিছু বলতে না পারলেও অন্তর থেকে ঘৃণা করবে।
প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে নবীনবরণের মতো চমত্কার সংস্কৃতি রয়েছে। তাছাড়া নতুনদের নিয়ে আড্ডা, খেলাধুলা, পিকনিক ইত্যাদি আয়োজনের মাধ্যমে সে যে নিঃসঙ্গ নয়, সেটা অনুভব করানো খুব দরকার। মা-বাবা, প্রিয়জনদের ছেড়ে আসা এক নবীন শিক্ষার্থী এমনিতেই খুব ভঙ্গুর মানসিক অবস্থায় থাকে। প্রতি ধাপে ভয়, শঙ্কা তাকে গ্রাস করতে চায়। বর্তমান শিক্ষার্থীদের উচিত, তার সে ভয় ভাঙাতে বড় ভাই বা বোনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া। তাকে এটা বিশ্বাস করতে শেখানো যে, এখানে আমরা সবাই আছি—তুমি মোটেই একা নও। তবেই না সে দ্রুত নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে, তাই না? অ্যাডমিশন টেস্টের সময় তোমাদের যে আচরণ থাকে, নবীনদের প্রতি তেমন মনোভাব পোষণ করলেই তাদের জন্য যথেষ্ট। তাছাড়া যারা র্যাগ দেয়, তাদের সংখ্যা শতকরা এক ভাগেরও কম। অথচ মিডিয়ায় যখন বিষয়গুলো আসে, তখন সেই প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৯৯ ভাগ ভালো আচরণের কথা ঢাকা পড়ে যায় দু-একটা অঘটনের কাছে। তাই যে ভার্সিটি নিয়ে আমরা অত্যন্ত গর্ব বোধ করি, তার সুনাম রক্ষায় সচেষ্ট হওয়া জরুরি নয় কি?
আর বর্তমান শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনার সন্তানকে সরাসরি বা ফোনে কথা বলার সময় বারবার স্মরণ করিয়ে দিন, বুয়েটে যেমন আবরারের পাশাপাশি আরো ২৬ জন মা-বাবা তাদের সন্তানদের হারালেন, আপনি তেমন দুঃসংবাদ শুনতে চান না। এ জাতীয় সামাজিক সমস্যায় শুধু কঠোর আইন যথেষ্ট হয় না। সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার। অভিভাবক, শিক্ষক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যাগিং বন্ধে সচেষ্ট রয়েছে। শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা বেশ আগেই দিয়েছে। গত বছর বেশ ক’জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ অন্যদের কঠোর শাস্তি দিয়েছে। যে ছেলে বা মেয়েটা সঙ্গদোষে এমন কাজে লিপ্ত হচ্ছে, সেও আমাদের সন্তান। তাদের ক্ষতি হোক সেটা আমরা কোনোভাবেই চাই না। বরং মানবিক পরিবেশে সবাই মিলেমিশে এগিয়ে যাব সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে—এটাই হোক দৃঢ় প্রত্যয়।
মো. আব্দুল হামিদ: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক।