সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সিমলা ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের শাহানগাছায় অবস্থিত সিমলা ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছোনগাছা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলামিনের অভিযোগ, সম্প্রতি সিমলা ডিগ্রি কলেজে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ১৭ জন প্রার্থী আবেদন করেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর চলতি মাসের ১৭ তারিখে ৭ জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
অভিযোগে জানান, স্থানীয়সহ আরও অধিকতর যোগ্য প্রার্থী আবেদন করলেও কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ হায়দার আলী বগুড়ার শেরপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুশফিকুর রহমানের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা লেনদেনের বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তার নেতৃত্বে শনিবার সকালে কলেজ অধ্যক্ষের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে কলেজ অধ্যক্ষ ও অন্য শিক্ষকরা কৌশলে কলেজ ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যান।
তিনি জানান, দু’দিন ধরে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলছে এবং শিক্ষা কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল না করলে কলেজের তালা খোলা হবে না। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতিপূর্বেও এই কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে কলেজ গভর্নিং বডি ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য নজরুল ইসলাম কলেজে তালা ঝুলানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বগুড়া জেলার ধনুট উপজেলার মুশফিকুর রহমান নামে এক প্রার্থীর নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আসলে আমি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হলেও এখানে হস্তক্ষেপ করার তেমন কোনো সুযোগ নেই। বিষয়গুলো সভাপতি ও অধ্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ ব্যাপারে সিমলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হায়দার আলীর সঙ্গে দিনভর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে, গভর্নিং বডির সভাপতি গাজী আমিনুল হক তালা ঝুলিয়ে দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও অন্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।