লাগামহীন ইংলিশ মিডিয়াম ও কেজি স্কুল - Dainikshiksha

লাগামহীন ইংলিশ মিডিয়াম ও কেজি স্কুল

বিভাষ বাড়ৈ |

শিক্ষাবিদদের সুপারিশ এমনকি উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরেও শিক্ষা সেক্টরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা ঝুলে আছে। আদালতের নির্দেশের পর চার বছর চলে গেলেও ইংরেজী মাধ্যমের স্কুল পরিচালনায় নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারেনি শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আমলাদের একটি বিশেষ গ্রুপের উদ্দেশ্যমূলক গাফিলতি এবং ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলের কর্তাব্যক্তিদের তদবিরের জোরেই এই কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কিন্ডার গার্টেন স্কুল নীতিমালা কার্যকর ও নিবন্ধনের কাজ ঝুলে আছে ছয় বছর ধরে। একটি নীতিমালা করে নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়া হলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না কোন স্কুল। অথচ নীতিমালা বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন গরজও নেই। নীতিমালা না মানায় টাস্কফোর্স গঠন করলেও তাতে অগ্রগতি নেই।

রীতিমতো লাগামহীনভাবে চলা ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের জন্য কটি নীতিমালার কাজ বছরের পর বছর ধরেই চলছে। তবু সেই নীতিমালা আলোর মুখ দেখছে না। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান বলছিলেন, নীতিমালা একটা করা হচ্ছে। কাজ এগিয়েছে তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলে জানানো হবে। জানা গেছে, নীতিমালা প্রণয়নের জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর চার বছর চলে গেছে। এখন ইংরেজী মাধ্যমের স্কুল পরিচালনায় নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারেনি শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য এক শ্রেণীর আমলাদের গাফিলতি, ফাইল চালাচালি এবং ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলের কর্তাব্যক্তিদের নানামুখী তদ্বিরের জোরকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ নীতিমালা প্রণয়নের নামে সভা, কর্মশালা এই ধরনের কাজে নিয়মিত মোটা অংকের অর্থও ব্যয় হচ্ছে। নীতিমালা না থাকায় শিক্ষার্থীদের উগ্র মতবাদে উদ্বুদ্ধ করা, ইচ্ছে মতো টিউশন ফি আদায়, অনুমোদনহীন পাঠ্যসূচী পাঠদান, জাতীয় দিবস পালন না করা ও জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি অবজ্ঞা করাসহ নানা ধরনের বিশৃঙ্খল অবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলগুলো। কার্যত এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণই নেই।

‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’ প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক শেখ ইকরামুল কবির বলছিলেন, শিক্ষানীতির একটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কিন্ডার গার্টেন থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নিবন্ধিত হতে হবে। কিন্তু ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের ক্ষেত্রে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এমনকি শিক্ষা আইনও করা হলো এখন পর্যন্ত। যেভাবেই হোক এটা বারবার আটকে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষানীতি প্রণয়নের উদ্দেশ্য সফল হবে না। জানা গেছে, নিবন্ধনহীন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের তালিকা এবং এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত শিক্ষা বোর্ডের কাছেও নেই। মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদফতরের কর্তৃপক্ষও এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। অন্যদিকে শিক্ষা বিস্তারের নামে এসব প্রতিষ্ঠান বেপরোয়া শিক্ষা বাণিজ্যে লিপ্ত এবং শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পরিচালনায় ২০০৭ সালের একটি নীতিমালা এমনিতেই আছে। এরপরও উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালার খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছিল। সেটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। ২০১১ সালে শিক্ষা বোর্ডগুলো অবৈধভাবে পরিচালিত হওয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল এসব স্কুলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা এবং ভর্তি ফি ও মাসিক বেতনের ওপর সরকারের কর্তৃত্ব আরোপ। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালে দেশে পরিচালিত ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলের জন্য একটি পৃথক নীতিমালা প্রণয়নের জন্য নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত। সে অনুযায়ী ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ইংরেজী মাধ্যম স্কুলের জন্য খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগের কর্মকর্তারা এ নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নীতিমালা চূড়ান্ত করতে কয়েক দফা তাগাদা দিলেও ফাইল নড়েনি। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক শাখার দুজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ও কলেজ শাখার এক কর্মকর্তা ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলের মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া ফাইলবন্দী করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে কোন নীতিমালা না থাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ভর্তিসহ পরিচালনায় রীতিমতো চলছে নৈরাজ্য। ফলে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। নীতিমালা না থাকায় ফ্রি স্টাইলে চলছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো। আমলাদের গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না শিক্ষা বোর্ডগুলোও। মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব বলছিলেন, বোর্ডের পক্ষ থেকে এক সময় একটি নীতিমালা করা হয়েছিল। কিন্তু নীতিতো আর বিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে না। এর কিছু বিষয় আগের রেজিস্ট্রেশন বিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়েছে। তাই বোর্ডকে বলা হয়েছে আবার ঠিক করতে। মন্ত্রণালয় এবার নীতিমালা করবেই। এ বিষয়ে আদালতের এবারের আদেশও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এক কর্মকর্তা।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, ‘রেজিস্ট্রেশন অব প্রাইভেট স্কুলস অর্ডিন্যান্স-১৯৬২’র অধীনে ২০০৭ সাল থেকে একটি নীতিমালায় বেসরকারী (ইংরেজী মাধ্যম) বিদ্যালয়ের সাময়িক নিবন্ধন প্রদান শুরু হয়। কিন্তু অধিকাংশ ইংরেজী মাধ্যম স্কুলই নিবন্ধন করেনি। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এ বলা হয়েছে, ও লেভেল এবং এ লেভেল শিক্ষাব্যবস্থার পাঠ্যক্রম, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন যেহেতু একটি বিদেশী ধারায় হয় সেহেতু ‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলকে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করা হবে। সরকারী অনুমোদন সাপেক্ষে এই শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। তবে উভয়ক্ষেত্রে সাধারণ ধারার সমপর্যায়ের বাংলা এবং বাংলাদেশ স্ট্যাডিজ পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ দুটি বিষয় পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্তি সাপেক্ষে ‘ও’ লেভেল উত্তীর্ণকে এসএসসি এবং ‘এ’ লেভেল উত্তীর্ণকে এইচএসসির সমমান হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

এই মুহূর্তে ইংলিশ মিডিয়ালে চলছে আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের হিরিক। ভর্তি ফি আদায়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে। ফলে বছর বছর আয় বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে ইচ্ছে মতো ফি তৈরি করে বাড়তি টাকা আদায় করছে ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কৌশলের অংশ হিসেবে হঠাৎ করেই স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন প্রায় দ্বিগুণ করে দিয়েছে। আবার কয়েকটি স্কুল থেকে অভিভাবকদের জানানো হয়েছে, পুনঃভর্তি ফিও দিতে হবে। ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এ অপকৌশলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন ওই সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।

কিন্ডার গার্টেন স্কুল নীতিমালা কার্যকর ও নিবন্ধনের কাজ ঝুলে আছে ছয় বছর ধরে। ২০১১ সালে একটি নীতিমালা করে নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়া হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গাফিলতির কারণে এখন পর্যন্ত তাতে কেই সাড়া দিচ্ছে না। একটি নীতিমালা ঘোষণা করেই বসে আছে মন্ত্রণালয়। তা কার্যকর করার পরিবর্তে বরং নিবন্ধনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি বাস্তবায়ন করতে দিয়ে নীতিমালায় সংশোধনী আনা নিয়েই কর্মকর্তারা ব্যস্ত। ফলে অনুমোদন ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডার গার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে। এদিকে নীতিমালা বাস্তবয়নের পরিবর্তে সম্প্রতি বিবন্ধন জটিলতা নিরসনে করণীয় নির্ধারণে টাস্কফোর্স গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে তিন ধরনের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডার গার্টেনগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে ২০১১ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা জারি করলেও এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া মেলেনি। অধিকাংশ নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডার গার্টেন সরকারের নিবন্ধনের আওতায় আসেনি। দেশে কতগুলো কিন্ডার গার্টেন রয়েছে তার সঠিক তথ্যও সরকারের কাছে নেই। এমন এক অবস্থান মন্ত্রণালয় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, আশা করা হয়েছিল যে জারিকৃত বিধিমালার আলোকে নার্সারি, প্রিপারেটরি বা কিন্ডার গার্টেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিবন্ধিত ও পরিচালিত হবে। কিন্তু বিধিমালা উপেক্ষা করে বেসরকারী উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। লক্ষ্য করা যায় এসব বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সুবিধা, ছাত্রছাত্রী ভর্তি, ভর্তি ফি নির্ধারণ, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং পাঠ্যবই অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে পাঠ্যবইয়ের আধিক্যে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ছে বলে সংবাদে প্রকাশিত হচ্ছে। টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যমের নার্সারি, প্রিপারেটরি ও কিন্ডার গার্টেনসহ সব ধরনের বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি বা নিবন্ধন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে টাক্সফোর্সের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা কিন্ডার গার্টেন (কেজি) স্কুল বন্ধে ৫ মাস আগে উদ্যোগ নেয় সরকার। এ লক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) সমন্বয়ে মোট ৫৫৯টি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। কিন্তু মাঠ প্রশাসনের অসহযোগিতায় কাজ এগোচ্ছে না। এ কাজে সহযোগিতার নির্দেশনা পাঠাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠিও পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান  বলেন, আমরা সব বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনওদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছি। টাস্কফোর্সের কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু এখনও টাক্সফোর্সের রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট আসলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাই বলছেন, ৫ বছর ধরে চেষ্টা করেও এসব স্কুলকে আইনের আওতায় আনা যায়নি। অভিযোগ আছে, এসব স্কুলের বেশিরভাগের মালিক সরকারবিরোধী কর্মকা-ে জড়িত। কেউ কেউ জঙ্গী অর্থায়ন ও বিদেশে অর্থপাচার করে বলে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন আছে। অথচ তার পরেও এসব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ এগোচ্ছে না।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0087978839874268