কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশের প্রতি প্রকৃত ভালবাসা ধারণ করাণোর দৃঢ় প্রয়াসে সম্পূর্ণ বিদ্যালয় ভবনটি জাতীয় পতাকার আদলে রং তুলির আঁচরে সাজানো হয়েছে। এখানে শুধু পুথিগত বিদ্যা অর্জনই নয়; একজন আদর্শ সোনার মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় রপ্ত করানো হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২৮০ জন কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী রয়েছে।
লেখাপড়ার মান, ফলাফল এবং খেলাধুলাসহ সবদিক দিয়েই বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মধ্যে একটি অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। উপজেলার মলুহার ওয়াজেদিয়া দ্বিতীয় মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের চলন-বলন দেখলে মনে হবে ওরা যেন প্রত্যেকেই একটি ফুটন্ত ফুল। বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের বাহির এবং ভেতরের চিত্র দেখলে মনে হয় এক যেন একটি আদর্শলিপি বই। ভবনের কক্ষের দেয়ালে দেয়ালে বর্ণমালা, বিভিন্ন মনীষীদের উক্তি, রং ধনুর সাত রং ও প্রজাপতির মেলাসহ প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি অঙ্কিত করে রাখা হয়েছে। রয়েছে শিক্ষণীয় মীনা কার্টুন।
১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বানারীপাড়া উপজেলার মলুহার ওয়াজেদিয়া দ্বিতীয় মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি দেখলেই মনে হয় একটি লাল-সবুজ পতাকা ও আদর্শলিপি বই। ৭৬ বছর পূর্বে বিদ্যালয়টি অ, আ, ক, খ শিখানোর মধ্যদিয়ে তার যাত্রা শুরু করে। আদর্শ এ বিদ্যালয়টি সেই থেকেই জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করছে গ্রামীণ জনপদ ইলুহার ইউনিয়নের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের।
তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত করতে ক্লাস রুটিন অধ্যায়নের পাশাপাশি স্বাধীনতার স্থপতি ও সোনার বাংলা বিনির্মাণের বিভিন্ন ইতিহাস এবং আদর্শ সমাজ গঠনে ভবিষ্যত প্রজন্মের করণীয় বিষয়ে বিশেষ আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বিদ্যালয়ের এক ঝাঁক সৃষ্টিশীল উদ্যোমী শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা বেগম বলেন, কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে পারলে ভবিষ্যতে এদেশে কোন ধরনের অপরাধীর জন্ম হবে না। এ লক্ষ্য নিয়েই তিনিসহ সব শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শামিম আহসান বলেন, শৈশবে শিক্ষার্থীদের মাঝে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের বীজ বপন করে দিতেই এ প্রয়াস।