রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৬৭ ও স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও ভোলার লালমোহন উপজেলার ৩১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া ৩০৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে নেই কোনো শহীদ মিনার। এতে করে পল্লী অঞ্চলের কোমলমতি শিশু ও তরুণ ছাত্র ছাত্রীরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেখা যায়, ২১ শে ফেব্রুয়ারি এলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁশ আর কলা গাছ দিয়ে একটি শহীদ মিনার তৈরি করে আর তা দিয়েই ভাষা শহীদদের স্মরণ করে।
জানা গেছে, লালমোহন উপজেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩১৭টি। এরমধ্যে কলেজ ১০টি, ডিগ্রি কলেজ ৪টি, স্কুল এন্ড কলেজ ৩ টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩১টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬টি, দাখিল মাদরাসা ৩৩ টি, আলিম ২ টি, ফাজিল ৬ টি, কামিল ১ টি । মোট মাদরাসা ৪২টি ও প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে মোট ২১৮টি।
এরমধ্যে লালমোহন পৌর এলাকার লালমোহন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গজারিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, গজারিয়া বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ডাওরীর হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দ্বীপশিখা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাজিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মঙ্গল সিকদার বাজার সংলগ্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রমাগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ লালমোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১০ টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে বলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি শহীদ মিনার নির্মাণ করতে চায়, তাহলে সেটা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে করতে পারে।