জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া রাজধানীর ধানমন্ডি ও গুলশানের লেকহেড গ্রামার স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এ নির্দেশ দেন।
তবে লেকহেড স্কুল কর্তৃপক্ষকে জঙ্গিবাদসহ যে কোনো বিষয়েই সরকারকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার নির্দেশও দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে শুনানি হয়।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ও রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে ৯ নভেম্বর লেকহেড গ্রামার স্কুলের গুলশান ও ধানমন্ডি শাখা বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, বন্ধ করে দেওয়া লেকহেড স্কুলের মালিককে স্কুলটি খোলা ও পরিচালনা করতে দেওয়ার জন্য কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। স্কুলটির মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবক এসব রিট করেন।
শিক্ষাসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব সালমা জাহান গত ৬ নভেম্বর বলেন, ‘স্কুলটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসছিলো। তদন্তের পর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।’
স্কুলটির কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান যুগ্ম সচিব।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা মহানগরীর ধানমন্ডি ও গুলশানে অবস্থিত লেকহেড গ্রামার স্কুলটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকায় এবং ধর্মীয় উগ্রবাদে অনুপ্রেরণা দেওয়া, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতাসহ জাতীয়/স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করায় প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ এর আগে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড স্কুলটির বিষয়ে তদন্ত করে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ পায় বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্কুলটির পরিচালনা পর্ষদ এবং কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ ছিলো। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।